পাক বোলারদের ব্যর্থতা অব্যাহত ইংল্যান্ডের মাটিতে

আসন্ন বিশ্বকাপ প্রতিযােগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সবথেকে প্রথম দল হিসাবে ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেছে পাকিস্তান।

Written by SNS Leeds | May 20, 2019 8:54 pm

শােয়েব আখতার (File Photo: IANS)

আসন্ন বিশ্বকাপ প্রতিযােগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সবথেকে প্রথম দল হিসাবে ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেছে পাকিস্তান। অবশ্য বিশ্বকাপের মহারণে খেলতে নামার আগে পাকিস্তান দল উদ্যোক্তাকারী দেশের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে ব্যস্ত।

বিশ্বকাপের আসরে নামার আগে এটা যে পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের জন্য ভালাে প্রস্তুতি সেটা সকলেই ধরে নিয়েছেন। পর পর প্রথম তিনটি ম্যাচে হেরে গিয়ে পাকিস্তান দল সিরিজের শিরােপা আগেই হাতছাড়া করে ফেলেছে সেটা আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না।

কিন্তু, পাক ক্রিকেটাররা বিশেষ করে দলের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলতে নেমে নিজেদের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজের কাজটা করে গিয়েছেন তা দেখে সকলেই খুব প্রশংসা করেছেন তাদের। কারণ টানা তিনটি ম্যাচে পাক ব্যাটসম্যান ঘরের বােলারদের পুরােপুরি কোণঠাসা করে দিয়ে তিনশাের বেশি রান তুলেছে। কিন্তু দলের তরুণ বােলারদের অনভিজ্ঞতা এবং নিজেদের সেরা পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ভালাে করে বজায় রাখতে না পারার জন্য দল বার বারই ব্যর্থতার মুখে পড়েছে।

ব্যাটসম্যানরা তো ফর্মের মধ্যে রয়েছেন কিন্তু বিশ্বকাপের আসরে নামার আগে দলের বােলারদের আরাে খাটতে হবে এবং প্রস্তুতি নিতে হবে নিজেদের পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য।

পাশাপাশি বলে রাখা ভালাে, মহম্মদ আমিরের খারাপ পারফরমেন্সের জন্য দলের নির্বাচকরা তাঁকে দলের বাইরে রেখেছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে দলের বােলারদের যা অবস্থা তা দেখে আমিরকে পুনরায় দলভুক্ত করা হয়েছে বিশ্বকাপের দলে। তবে তিনি এখন চিকিৎসারত, চিকেন গুনিয়ায় ভুগছে।

এদিকে পাক বােলারদের ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যর্থতার জন্য এখন থেকেই সুর তুলেছেন প্রাক্তন শােয়েব আখতার। তিনি পরিষ্কার জানান, ‘এমন যদি অবস্থা বিশ্বকাপের আসরেও দেখা যায় তা হলে সেখানে আর দ্বিতীয় কোনও সুযােগ থাকবে না। ক্রিকেটের মহারণে নামার দলের বােলারদের আগে থেকে আরাে ভালাে করে প্রস্তুতি নিতে হবে। না হলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে যাওয়া তাে দুরের কথা, কোনও ম্যাচ জেতাই অসম্ভব হয়ে যাবে পাকিস্তানের কাছে।’

এদিকে রবিবার পঞ্চম একদিনের ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে নেমে টসে জিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গান টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে ফর্মে থাকা জনি বেয়ারস্ট্রো বত্রিশ রান করে আউট হয়ে গেলেও, জোয়ে রুটের চুরাশি ও অধিনায়ক মর্গানের ছিয়াত্তর রানের উপর ভর করে ইংল্যান্ড দল নয় উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রান তােলে।

৩৫২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ফর্মে থাকা পাকিস্তানের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা কাজের কাজটা করতে পারলেন না। এদিন চোটের জন্য দল থেকে বাদ পড়েন ইমাম উল হক। তাঁর বদলে ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ আবিদ আলি। বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ছয় রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। সব উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান করে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়।