এএফসি কাপে নকআউট রাউন্ডে খেলার ছাড়পত্র পাওয়ার পর কোচ হাবাস এটিকে মােবাগানের রয় কৃষ্ণসহ অন্য বিদেশি ফুটবলারদের বাড়ি যেতে অনুমতি দিলেন। যার ফলে রয় কৃষ্ণরা দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
সেই কারণে কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ‘এ’ ডিভিশনের খেলায় এটিকে মােহনবাগান খেলছে না, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আইএফএ’র পক্ষ থেকে যে ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এটিকে মােহনবাগানের প্রথম খেলা ছিল ২৯ আগস্ট।
Advertisement
এদিকে এএফসি কাপের নকআউট স্তরের খেলা শুরু হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। তার জন্য প্রস্তুতি শিল্পি শুরু হচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। একথা জানিয়ে কোচ হাবাস জানিয়ে দিয়েছেন এবং বলেছেন, এদিন আগেইসব খেলােয়াড়দের একত্রিত হতে হবে। তাই কয়েকটা দিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন খেলােয়াড়।
Advertisement
এই ভাবনাতেই সবাইকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য কোচ হাবাস তার বাড়িতে যাচ্ছেন না ভারতেই থাকবেন। আবার এটিকে মােহনবাগান দলের সাতজন ফুটবলার সাতজন ফুটবলার ভারতীয় প্রশিক্ষণ শিবিরে যােগ দিচ্ছেন জাতীয় কোচ ইগর স্টিম্যাকের তত্ত্বাবধানে।
ভারতীয় দল নেপালে দু’টি আমন্ত্রণী ম্যাচ খেলবে। তার আগে কলকাতায় মহামেডান স্পাের্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ভারতীয় দল একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবে। সেই কারণে এটিকে মােহনবাগানের পক্ষে কলকাতা ফুটবল লিগে খেলার আশা কোনওভাইে নেই বলে জানি দিয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জিকে।
তারা কলকাতা ফুটবল লিগ শুধু নয়, ডুরান্ড কাপ ফুটবলেও অংশ নেবে না। কলকাতা ফুটবল লিগে অংশ নেবে না তার পিছনে এটিকে মােহনবাগানের বেশ কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমত, কলকাতা ফুটবল লিগে ও ডুরান্ড কাপ ফুটবলে কোনও জৈব বলয়ের ব্যবস্থা নেই। করােনা প্রভাবে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চান না খেলােয়াড়দের জন্য।
তারপরে বিদেশি ফুটবলাররা দেশে ফিরে গেলেন। পাশাপাশি, সাতজন ফুটবলার ভারতীয় প্রস্তুতি শিবিরে যােগ দিচ্ছেন। স্বাভাকিবাবে দল দুর্বল হয়ে পড়েছে। খেলতে নেমে খারাপ ফলাফল হলে। সমর্থকরা ছেড়ে কথা বলবে না। ক্লাবের সুনাম নষ্ট করতে রাজি নই। তখন নতুন করে বিতর্ক বাড়বে।
এএফসি কাপের জন্য প্রস্তুতির কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি কলকাতা ফুটবলে এটিকে মােহনবাগান খেলুক। সবরকম সুযােগসুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
এমনকি অতিরিক্ত বিদেশি ফুটবলারের সই করানাের জন্য বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও যদি এটিকে মােহাবাগান না খেলে, তাহলে আর কী করার আছে।
Advertisement



