কলকাতা থেকে আইপিএল ফাইনাল খেলা আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়ার পিছনে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বৃষ্টির কারণে এখানে খেলার আয়োজন করা সম্ভব নয়। কিন্তু দেখা গেল, কোয়ালিফাইয়ারে পাঞ্জাব কিং ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের খেলার দিন বৃষ্টি হওয়াতে বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে খেলা শুরু হয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে বোর্ডের এই ঘোষণাকে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন। এমন কোন জ্যোতিষবিজ্ঞানী রয়েছেন, যিনি এই সিদ্ধান্তের কথা তাঁদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন? আবহাওয়া অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোথায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে কলকাতার নাম উল্লেখ ছিল না। কিন্তু দেখা গেল আহমেদাবাদে বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ফাইনাল খেলা শুরু হওয়ার আগেও একপশলা বৃষ্টি হয়েছে এখানে। দুপুরে বৃষ্টি হলেও পরবর্তী সময়ে মেঘ সরে গিয়ে রোদ ওঠে। দর্শকদের উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে।
আইপিএল ফাইনালের আগে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে সম্মান জানানো হয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের পক্ষ থেকে। দেশাত্মবোধক গানের মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম জাগানো হয়। মঞ্চটি জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল। নাচের অনুষ্ঠানেও দেশপ্রেমের ছবি ফুটে ওঠে। ‘মেরে দেশ কি মিট্টি’, ‘দেশ মেরে দেশ মেরে মেরি জান হ্যায় তু’এই গানে সবাই কণ্ঠ মেলাতে থাকেন। গ্যালারিতে যে সমস্ত দর্শক হাজির হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের হাতে জাতীয় পতাকা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
নাচের প্রথম অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই সশস্ত্র বাহিনীকে একটি ভিডিও উৎসর্গ করা হয়। সেখানে দেখানো হয়েছে, ভারতের সেনাবাহিনী কীভাবে পাহাড়, জঙ্গল, সমতলে অতন্দ্র প্রহরীর মতো দেশকে রক্ষা করে। তাঁদের বীরত্ব এবং সাহসীকতাকে সবাই সেলাম জানান। তারপরেই ‘বন্দেমাতরম’ থেকে শুরু করে ‘হাম হ্যায় হিন্দুস্তানী’ এইরকম আরও বেশ কয়েকটি দেশপ্রেমের গানের মধ্য দিয়ে মঞ্চে শিল্পীরা আলোকিত করেছিলেন। বৃষ্টি না হওয়াতে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কোনওরকম সমস্যা তৈরি হয়নি। ইডেনে ফাইনাল খেলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল সিএবি’র পক্ষ থেকে। অথচ সবকিছু ভুলে গিয়ে সিএবি’র সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, সচিব নরেশ ওঝা ও কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী সহ একঝাঁক কর্মকর্তা আহমেদাবাদে যান ফাইনাল খেলা দেখতে।
এদিকে আইপিএল মেগা ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার টসে জেতেন। টসে জেতার পরে পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়স রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পাটিদারদের ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। প্লে-অফের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে পাঞ্জাবের হয়ে যে একাদশ খেলেছিল তাতে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। দলে একজন স্পিনারকে রাখা হয়েছে। তিনি হলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। অবশ্য তিনি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার।