চ্যাম্পিয়ন্স ট্রপিতে ভারতীয় দল সেরা সম্মান পাওয়ার পরেই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা নানারকম কথা বলতে শুরু করেছেন। কেউ বলছেন, যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন আইসিসি ভারতকে খেতাব জয়ের জন্য দারুণ সহযোগিতা করেছে। তাঁরা বলতে চাইছেন, রোহিত ব্রিগেডকে চ্যাম্পিয়ন করার রাস্তাটা সহজ করে দিয়েছে। এইরকম কথাবার্তা আরও কিছুদিন চলবে। তাই নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটেরাররা খুব একটা চিন্তিত নন।
তবে চলতি মরশুমে ভারতীয় ক্রিকেটাররা দারুণ ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাবেন। এমনকি বিশ্রামের সময় নাও পেতে পারবেন। সামনে কয়েকদিন বাদেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ১৮তম আইপিএল ক্রিকেট। ২২ মার্চ থেকে শুরু হবে। চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। উদ্বোধনের পাশাপাশি ফাইনাল খেলা হবে ইডেন উদ্যানে। উদ্বোধনে মুখোমুখি হবে কেকেআর ও বেঙ্গালুরু। ইতিমধ্যেই বেশকিছু দলের অধিনায়ক কে হবেন, তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়ে গেছে। আইপিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যাবে ভারত ও ইংল্যান্ডের পাঁচটি টেস্ট সিরিজ। ভারতের ২০২৫-২০২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচনা হবে এই পর্ব দিয়েই। তৃতীয় টেস্ট চ্যাম্পিন্সশিপে ভারত ফাইনালে খেলতে পারছে না। তাই ভারত চেষ্টা করছে আগামী টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। ভারত ও ইংল্যান্ডের শেষ টেস্ট সিরিজে ভারত সামান্য ব্যবধানে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই পতৌদি ট্রফি পায়নি ভারত।
তবে অন্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় দলে নেতৃত্ব বদল হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোহিত শর্মার পরিবর্তে কোনও এক তরুণ ক্রিকেটারকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তারপরেই রয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্বকাপ। আর এই প্রতিযোগিতার আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। খেলা হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে। ইংল্যান্ড সফর শুরু হবে ২১ জুন থেকে। চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত। তারপরেই ভারত খেলতে যাবে বাংলাদেশে। সেখানে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। আর ওই খেলা হবে আগস্ট মাসে। এশিয়া কাপ ক্রিকেট হবে সেপ্টেম্বর মাসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারত সফরে আসবে দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে। খেলা শুরু হবে অক্টোবর মাসে। তারপরেই ভারত আবার অস্ট্রেলিয়া সফরে চলে যাবে। সেখানে দুই দল মুখোমুখি হবে তিনটি একদিনের ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের। আর ওই খেলা হবে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে।
তারপরে ভারতের মাটিতে খেলতে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা নভেম্বর-ডিসেম্বর মাটিতে ভারতে খেলবে দু’টি টেস্ট, তিনটি একদিনের ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই খেলা শেষ হতেই ভারতের মাটিতে আবার আসবে নিউজিল্যান্ড। তারা খেলবে তিনটি একদিনের, পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই খেলাগুলি হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে। সেই কারণেই চলতি মরশুম ও আগামী বছরে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই ক্রিকেটাররা সময় কাটাবেন।