৮৩’র প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ী দলের নায়ক যশপাল শর্মার জীবনের ইনিংস থামল

নক্ষত্রের পতন… ভারতীয় দলের প্রথমবার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য যশপাল শর্মা মঙ্গলবার ভােরে হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Written by SNS New Delhi | July 14, 2021 9:15 pm

যশপাল শর্মা (Photo: IANS)

নক্ষত্রের পতন… ভারতীয় দলের প্রথমবার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য যশপাল শর্মা মঙ্গলবার ভােরে হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৬ বছর। ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে ৩৭ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। 

১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন দেশের জার্সি গায়ে। আন্তর্জাতিক আসরে দু’টি শতরান সহ ১,৬০৬ রান করেছেন এবং নয়টি অর্ধশতরানও রয়েছে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সালে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রয়াত যশপালের রান ৮৮৩। 

উল্লেখ্য ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তিনি ১১৫ বল খেলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এছাড়া তিনি ওই ম্যাচে অ্যালান ল্যাম্বকে রানআউটও করেছিলেন। 

ঘরােয়া ক্রিকেটে রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও রেলওয়েজের হয়ে খেলেছেন। খেলা ছাড়ার পর বিসিসিআইয়ের বিভিন্ন পদে ছিলেন। 

বলে রাখা ভালাে, ২০০৪ সালে মহেন্দ্র সিং ধােনি ভারতীয় দলে সুযােগ পেয়েছিলেন একমাত্র প্রয়াত যশপালের জন্যই। এবং সৌরভ গাঙ্গুলির পুনরায় জাতীয় দলে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও তার মুখ্য ভূমিকা ছিল। 

ভারতের প্রথমবার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য যশপালের প্রয়াণে শােকের ছায়া নেমে এসেছে বিসিসিআইয়ের অন্দরে। তারই দলের এক সতীর্থ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, ‘হ্যা এটা সত্যি খবর। যশপাল আর আমাদের মধ্যে নেই। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই খবর জানানাে হয়েছে।’ 

দিলীপ ভেঙ্কসরকার বলেন, ‘সত্যি খবরটা শােনার পর কিছুক্ষণ নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। এরকম একটা খবর শুনতে হবে তা আশা করিনি। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা। সত্যি বলতে কি যশপাল আমাদের দলের মধ্যে সবথেকে বেশি ফিট খেলােয়াড় ছিল। এবং নিজের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখার জন্য শুধু শাক-সবজি খেত। আর রুটিন করে শরীরচর্চা করত। আর রাতের বেলার খাওয়ার সময় সুপ খেত। বলে রাখা ভালাে, সকালে উঠে নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করত। এখনও সেই পুরানাে দিনগুলাের কথা মনে পড়ছে। একজন দক্ষ ক্রিকেটার ছিল। বিশেষ করে লড়াকু মনােভাব নিয়ে খেলত। দিল্লিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটার কথা মনে পড়ছে। সেদিন আমাদের মাঠের পার্টনারশিপটা ছিল তাই আমরা জয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমার পার্টনার আমায় একা রেখে আগেই চলে গেল।’ 

যশপালের মৃত্যুতে শােকজ্ঞাপন করেছেন বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রয়াত যশপালের দলীয় সদস্য কীর্তি আজাদ বলেন, খবরটা খুবই বেদনাদায়ক। ভাবতে পারছি না আমাদের এক সঙ্গী আমাদের ছেড়ে চলে গেল। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।