গত বছরই জাতীয় ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্যের রাস্তা দেখিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। স্প্যানিশ কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে ইস্টবেঙ্গল গত মরশুমে জেতে সুপার কাপ। যদিও সাফল্য বেশিদিন ধরে রাখা যায়নি। চলতি মরশুমে ডুরান্ড কাপে সেমিফাইনালে উঠতে না পারা থেকে শুরু করে আইএসএলের প্রথম তিন ম্যাচে হারতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। শক্তিশালী দল গড়েও ব্যর্থতার মুখে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান কার্লেস কুয়াদ্রাত।
বিদায় লগ্নে কার্লেস কুয়াদ্রাত সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহ্যশালী ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার কাছে গর্বের বিষয়। একসঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের জন্য ইস্টবেঙ্গলকে ধন্যবাদ জানাই। সফরের শেষটা প্রত্যাশিত হয়নি। ফুটবলে পেশাদারিত্ব থেকে একটা ক্লাবে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আমি প্রার্থনা করব ‘আমাগো ফ্যানস’ ও ইস্টবেঙ্গল পরিবার যেন ভবিষ্যতে অনেক সাফল্য লাভ করে। আমি সমর্থকদের আবেগকে সম্মান জানিয়ে দেশ ছাড়ছি। আমার সঙ্গে রয়ে যাবে একসঙ্গে কাটানো একাধিক মুহূর্তের স্মৃতি।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, আইএসএলে বেঙ্গালুরু এফসি, কেরল ব্লাস্টার্স ও এফসি গোয়ার কাছে হারতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। তিনটি ম্যাচেই রক্ষণ বিভাগ পুরোপুরি ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গলের, এমনটাই মত প্রাক্তন ফুটবলারদের। অথচ ডিফেন্সে মোহনবাগান থেকে আনোয়ার আলি ও হেক্টর ইয়ুস্তেকে আনা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। দলে রয়েছে জর্ডনের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের। তারপরও প্রতি ম্যাচে রক্ষণে দেখা যাচ্ছে একের পর এক ভুলভ্রান্তি। মাঝমাঠে মাদি তালালের মতো বিদেশি খেলোয়াড় থাকলেও আক্রমণ সেভাবে দানা বাঁধছে না। কোচের পছন্দ মতো সব বিদেশি খেলোয়াড় আনা হলেও সাফল্য এখনও অধরা।
Advertisement
উল্লেখ্য, এফসি গোয়ার কাছে যুবভারতীতে হারের পরই কার্লেস কুয়াদ্রাত গো ব্যাক স্লোগান তুলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তারপরই সোমবার ইস্টবেঙ্গলের কোচিং ছেড়ে দেন কুয়াদ্রাত। গত বছর কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে সুপার কাপ জেতে ইস্টবেঙ্গল। গত বারের ডুরান্ড কাপেও রানার্স হয় ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে গতবছর সাফল্য পায় ইস্টবেঙ্গল। তাই কুয়াদ্রাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
Advertisement



