• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কোচ মানোলোর ইস্তফাপত্রে সিলমোহর দিল ফেডারেশন

ফেডারেশনের দাবি কি শেষপর্যন্ত মেনে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার ? জাতীয় ক্রীড়ানীতি কিন্তু সেই সম্ভবনাই আরও জোরালো করছে।

ফাইল চিত্র

মাত্র এক বছরের মধ্যেই ভারতীয় দলের প্রধান কোচের মোহ ভঙ্গ। সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানলেন কোচ মার্কেজ মানোলো। ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে রাতারাতি এফসি গোয়ার কোচ মানোলোকে ভারতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রধান কোচ হিসেবে। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স এত খারাপ ছিল, যার ফলে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এশিয়া কাপ বাছাই পর্বের খেলায় ভারত হার স্বীকার করেছিল হংকংয়ের কাছে। তারপরেই কোচ নিজেই ভারতের খেলোয়াড়দের খেলা দেখে তিনি অনুভব করেছিলেন, তাঁর পক্ষে এই পদে থাকা উচিত হবে না। তারপরেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি গোয়ায় চলে যান। প্রাথমিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না হলেও বুধবার ফেডারেশনের সভায় ওই পদত্যাগপত্রে সিলমোহর পড়ল। অর্থাৎ ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্বে তিনি আর থাকছেন না। তাই এখন থেকে ভারতীয় ফুটবল দলে নতুন কোচের সন্ধানে নেমে পড়বে ফেডারেশন। এই পদের লড়াইয়ে এই মুহূর্তে রয়েছেন খালিদ জামাল ও সঞ্জয় সেন। তবে এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন খালিদ জামাল। নতুন কোচের বিজ্ঞাপন খুব তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে বলে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

এআইএফএফ কর্তা যতই আলোচনার কথা বলুন না কেন, মানোলোকে নিয়ে খুশি ছিলেন না কেউ। জানা গিয়েছে, ফুটবলারেরাও আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁর খেলানোর ধরন কাজে লাগছিল না। ভারতীয় দলের পাশাপাশি আইএসএলে এফসি গোয়ারও কোচ ছিলেন মানোলো। ফলে তিনি কোন দলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেই প্রশ্নও উঠছিল। ইগর স্টিমাক ভারতের কোচের পদ ছাড়ার পর মানোলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কোচিংয়ে মোট আটটা ম্যাচ খেলেছে ভারত। মাত্র একটা জিতেছে। সেটাও মালদ্বীপের বিরুদ্ধে একটা প্রীতি ম্যাচ। অন্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের নামে সমালোচনা করায় তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে, ফেডারেশনের দাবি কি শেষপর্যন্ত মেনে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার ? জাতীয় ক্রীড়ানীতি কিন্তু সেই সম্ভবনাই আরও জোরালো করছে। মঙ্গলবারই জাতীয় ক্রীড়া নীতি ২০২৫-এর অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই নীতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশিরাও এবার ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারবেন। আসলে, বর্তমানে শুধুমাত্র ভারতের পাসপোর্ট থাকা খেলোয়াড়রাই দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামার অনুমতি পান। তবে, নতুন ‘খেলো ভারত’ নীতিতে বলা হয়েছে, সরকার খেলাধুলোর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। আসলে, খেলাধুলাকে এখানে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অঙ্গ হিসেবে দেখা হয়েছে। সেজন্যই, প্রতিভাবান ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভারতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে। শেষপর্যন্ত যদি কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত এই নতুন নীতি গৃহীত হয় তাহলে আদতে লাভ হবে ভারতীয় ফুটবলের।

Advertisement

Advertisement