• facebook
  • twitter
Monday, 19 May, 2025

জকোভিচের অবসরের ভাবনা

২৪ ঘন্টা আগে মাদ্রিদ ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছেন সার্বিয়ান তারকা। সাম্প্রতিককালে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল মায়ামি ওপেনে।

ফাইল চিত্র

নোভাক জকোভিচ কি অবসর নিতে চান? তিনি কি আর পেশাদার টেনিসের আঙিনায় নিজেকে ধরে রাখতে চাইছেন না? ২৪ ঘন্টা আগে মাদ্রিদ ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছেন সার্বিয়ান তারকা। সাম্প্রতিককালে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল মায়ামি ওপেনে। যেখানে তিনি ফাইনালে উঠেছিলেন। সেখানেও তিনি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। হেরে বসেন চেক তরুন ইয়াকুব মেসিকের কাছে। স্ট্রেট সেটে ৭-৬ (৪), ৭-৬ (৪)। রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে। তাছাড়া কাতার ওপেন, মন্টে কার্লো থেকে শুরু করে মাদ্রিদ ওপেন যেখানে নেমেছেন সেখানেই প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছেন। এমন এক একজনের কাছে হার স্বীকার করতে হচ্ছে যাঁরা টেনিস মহলে এখনও সেভাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারেননি। সুতরাং জকোভিচের অন্তর যে তোলপাড় হচ্ছে তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি বোধহয় বুঝতে পেরেছেন, এভাবে চললে তাঁর সুনাামের প্রতি অবিচার করা হবে। টেনিস কোর্টে তাঁর সাফল্যের ইতিহাস কেউ মনে রাখবে না।

তাই ২৪ ঘন্টা আগে মাদ্রিদ ওপেনে হারার পর অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বয়ং জকোভিচ। জানিয়েছেন, মাদ্রিদ ওপেন তাঁর শেষ সফর হয়ে গেল। তারমানে আর মাদ্রিদ ওপেন তিনি খেলতে আসবেন না। ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন জকোভিচ। যেখানে তিনি জানাতে চেয়েছেন, মোটেই ইতিবাচক জায়গায় তিনি নেই। কিছুদিনের মধ্যে ফরাসি ওপেন। সেই গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে তিনি যে আর ফেবারিট নন তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জকোভিচ। ‘আমার প্রত্যাশা এখানে খুব বেশি ছিল না।’ পরমুহূর্তে জকোভিচ বলেন, ‘মন্টে কার্লোর চেয়ে আরও একটা বেশি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলাম। খুব খারাপ লাগছে, গত ২০ বছর ধরে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় এমন ফল কখনও হয়নি। এভাবে কখনও হেরে একটার পর একটা প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিইনি। যা কখনও অভ্যস্থ ছিলাম না তা যদি বারবার ঘটতে থাকে তখন খারাপ লাগে বইকি। এটাই বোধহয় জীবনের চক্র। তাই এখন থেকে বলতে পারি, ফরাসি ওপেনে আমি মোটেই ফেবারিট হিসেবে থাকব না। তবে কে বলতে পারে, এই ধরনের আঘাত থেকে হয়তো আমাকে ভাল কিছু করতে সাহায্য করবে।’

সাংবাদিক সম্মেলনে জকোভিচ এও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, কোথায় তাঁর ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে। যে পরিবর্তনগুলো তিনি করতে চাইছেন তা কেন পারছেন না। তবে এটাই যে বাস্তব তা মেনে নিতে তিনি আদৌ আর দ্বিধা করতে রাজি নন। ‘সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পূর্ন পাল্টে গিয়েছে। যে স্ট্রোক অনায়াসে নিতে পারতাম তা এখন পারছি না। এমন কী আমার শরীর ও নড়াচড়ায় প্রচুর খামতি থেকে যাচ্ছে। তাই বাস্তবকে অস্বীকার করতে পারছি না। ফলে বারবার ধাক্কা খেতে হচ্ছে। চেষ্টা করব নতুন পরিস্থিতিগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধে কীভাবে নেওয়া যায়। বিশেষ করে গ্র্যান্ড স্লামে। যা আমার টেনিস কেরিয়ারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন।’ আর মাত্র একটা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি শিরোপা জয়ে সেঞ্চুরি করবেন। তাহলে একাসনে বসে পড়বেন জিমি কোনর্স ও রজার ফেডেরারের সঙ্গে। এই দু-জন যথাক্রমে জিতেছেন ১০৯ ও ১০৩টি ট্রফি। জকোভিচ তাই চাইছেন যেভাবে হোক এঁদের সঙ্গে টেনিস কেরিয়ারে নিজের নাম তুলতে। অথচ এখন তাঁর কেবিনে রয়েছে ৯৯টা ট্রফি। প্যারিস অলিম্পিকে পদক জয়ের পর থেকে তাঁর চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই। তারপর থেকে যেখানে নেমেছেন সেখানে পারেননি সফল হয়ে কোর্ট ছাড়তে। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছেন বোধহয় সদ্য মাদ্রিদ ওপেনে। যেখানে ২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ীকে কিনা পরাজিত হতে হয়েছে ইতালির মাতেও আর্নাল্ডির কাছে। যা তাঁর কাছে সম্পূর্ন হতাশ হওয়ার মতোই ঘটনা। তাই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি।