মঞ্চে লিয়োনেল মেসির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করবেন, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকবেন— এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। কিন্তু শনিবার সেই প্রত্যাশা আর বাস্তবের মেলবন্ধন হল না। স্টেডিয়ামের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে মাঠে পা না রেখেই কলকাতা ছাড়লেন বলিউডের বাদশা। ছেলে আব্রামকে নিয়ে হোটেল থেকে সরাসরি বিমানবন্দরের পথে রওনা দিয়ে মুম্বই ফিরে গেলেন তিনি।
তবে কলকাতা সফর পুরোপুরি নিষ্ফল হয়নি শাহরুখের। মাঠে যাওয়ার আগেই হোটেলেই লিয়োনেল মেসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম। মেসির সঙ্গে আলাদা করে ছবি তোলে আব্রাম। পরে ফুটবলের রাজপুত্র ও বলিউডের বাদশা একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হন। সেই মুহূর্তের ছবি ইতিমধ্যেই অনুরাগীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, প্রায় প্রতি বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন শাহরুখ খান। এ বছর সেখানে তাঁকে দেখা যায়নি। ফলে শহরের অনুরাগীদের আশা ছিল, অন্তত যুবভারতীতে মেসি ও শাহরুখকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ মিলবে। কিন্তু স্টেডিয়ামে অশান্তির জেরে আশাহত হতে হয় দর্শকদের। মাঠে নয়, হোটেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এই তারকাখচিত সাক্ষাৎ।
Advertisement
শনিবার ভোর থেকেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের চারপাশে জমে উঠেছিল ফুটবলপ্রেমীদের ঢল। মেসিকে এক ঝলক দেখার জন্য উপচে পড়ে জনতার ভিড়। অভিযোগ, মেসি স্টেডিয়ামে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তার ভিড়ে তাঁকে ঘিরে ধরেন বহু মানুষ। ফলে গ্যালারি থেকে ফুটবল তারকাকে ঠিকভাবে দেখার সুযোগ পাননি দর্শকদের বড় অংশ।
চড়া দামে টিকিট কেটেও মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পারায় ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। সেই অসন্তোষ দ্রুত হুড়োহুড়ি ও চিৎকারে বদলে যায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে দেখে নিরাপত্তার কারণে মেসিকে দ্রুত মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকায় বাতিল করা হয় এই অনুষ্ঠানের বাকি কর্মসূচি।
এই পরিস্থিতিতেই যুবভারতীতে শাহরুখ খান যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফুটবলের শহরে যে অনুষ্ঠানকে ঘিরে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা আর অপূর্ণ প্রত্যাশার খবর হয়ে রইল। কলকাতার অনুরাগীদের কাছে মেসি ও শাহরুখকে একসঙ্গে মঞ্চে দেখার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।
Advertisement



