• facebook
  • twitter
Sunday, 20 July, 2025

কেন্দ্র এপিক নিয়ে আলোচনায় নারাজ

ওয়াকআউট তৃণমূল, বিজেডির

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনও উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরই প্রতিবাদ, বিক্ষোভে শামিল হয় তৃণমূল, বিজেডি-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা। অধিবেশনের প্রথমেই রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। সমর্থন জানিয়ে সুর চড়ায় নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডিও। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি চেয়ারম্যান। আর তাতেই শুরু হয় ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ওয়াকআউট করে বেরিয়ে আসেন তৃণমূলে সাংসদরা। তাঁদের অনুসরণ করে বিজেডিও ওয়াকআউট করে। এরপর একে একে অন্যান্য বিরোধীরাও এনিয়ে সুর চড়ান। অধিবেশন কার্যত ভেস্তে যায়। সংসদের বাইরে বেরিয়ে কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।

সোমবারও রাজ্যসভায় এপিক নিয়ে আলোচনা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি ওই দিন এ বিষয়ে আলোচনার জন্য দাবি জোরালো করেছিলেন। কিন্তু এপিক নিয়ে বিতর্কে সরকার রাজি হয়নি বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। মঙ্গলবারেও সেই একই অভিযোগ তুলে রাজ্যসভা ছাড়লেন বিরোধী সাংসদেরা।

একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম। তালিকায় এই ভূতুড়ে’ বিষয়টি নিয়ে সবার আগে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, এরাজ্যের ভোটার তালিকায় ভিনরাজ্যের ভোটারদের নাম রয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে সেসব ভূত তাড়াতে দলের নেতা, মন্ত্রীদের স্ক্রটিনির দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এমনকী তা নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন দপ্তর ছাড়াও কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে সংসদে দলের রণকৌশল স্থির করে দিয়েছিলেন তিনি। সেইমতো সংসদে অধিবেশন শুরু হতে উভয় কক্ষেই আলোচনার দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু সোমবার, প্রথম দিনও সেই আলোচনার প্রস্তাব খারিজ ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠেছিল অধিবেশন। মঙ্গলবারও কার্যত একই ছবি দেখা গিয়েছে।

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই এপিক নম্বর বিতর্কে কেন্দ্রের উপর চাপ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেন বিরোধীরা। এ ক্ষেত্রে বিরোধী জোটের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যায় বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়