ব্রাজিলের কোচ হিসেবে প্রথম কোনও ইতালিয়ান দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি হলেন কার্লো অ্যানচেলোত্তি। গত ২৬ মে থেকে শুরু হয় তাঁর পথচলা। ২০২২ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিতে। তারপর থেকে অ্যানচেলোত্তিকে পাওয়ার চেষ্টা করছিল ব্রাজিল। কিন্তু ক্লাব ফুটবলের সফল কোচ প্রতিবারই ফিরিয়ে দেন ব্রাজিলকে।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে হারার পর থেকেই অ্যানচেলোত্তিকে নিয়ে জল্পনার শেষ ছিল না। নীল-সাদা জার্সিধারীদের কাছে হারের পরে দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করে ব্রাজিল। তার পরই ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন অ্যানচেলোত্তি।
Advertisement
বর্ষীয়ান কোচ বেশ বুঝতে পারছেন তিনি দারুণ এক চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে। ব্রাজিলের হয়ে খেতাব জিততে না পারলে তাঁর দিকে ধেয়ে আসবে তীব্র সমালোচনা। অ্যানচেলোত্তি বলেছেন, ‘জিততেই হবে এমন প্রত্যাশার চাপ নেই তাঁর উপরে। ব্রাজিলের দায়িত্ব ছেড়ে দিলে তিনি কেবল রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বই নেবেন।’
এদিকে বছর দুয়েকের মতো জাতীয় দলে নেই নেইমার। তাঁর ফেরার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে চোট সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেয়। ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার বলছেন, চোট নয়, অন্য কারণে তাঁর জায়গা হয়নি জাতীয় দলে। নেইমারকে নিয়ে সমালোচনায় প্রচুর ঝড় উঠেছিল।
Advertisement
ব্রাজিল কোচ কার্লো অ্যানচেলোত্তি জানিয়েছেন, আগামী বছরের বিশ্বকাপে নেইমার দলে জায়গা পাবেন। তবে সেই জন্য তাঁকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। দলে ফিরতে হলে শারীরিক দিক থেকে নেইমারকে পুরোপুরি ফিট হতে হবে।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে নেইমার শেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। তারপর বহুবার চেষ্টা করেও নেইমার আর জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি। অ্যানচেলোত্তি কোনও রকম রাখ ঢাক না করে বলেছেন, নেইমারের প্রতিভা সম্পর্কে সবাই জানেন। আধুনিক ফুটবলে প্রতিভা কাজে লাগাতে হলে ফুটবলারকে শারীরিক দিক থেকে ফিট থাকতে হয়।
অ্যানচেলোত্তি কোচ হয়ে ব্রাজিলের রিমোট কন্ট্রোল হাতে দাঁড়িয়েছেন চারটি ম্যাচে। বিশ্বকাপের আগে তাঁর হাতে আরও ৬টি ম্যাচ রয়েছে। ইতালিয়ান ম্যানেজার বলেছেন, ব্রাজিলের পর তিনি যদি কোনও দলের দায়িত্ব নিতে চান তাহলে সেটা অবশ্যই রিয়াল মাদ্রিদ।
Advertisement
