• facebook
  • twitter
Sunday, 16 February, 2025

ইডেনে বাংলা বনাম পাঞ্জাবের লড়াই

প্রথম দিনের শেষে কিছুটা চাপে অনুষ্টুপরা

নিজস্ব চিত্র

সেই অর্থে রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে বাংলা ও পাঞ্জাবের নকআউট পর্যায়ে খেলার সম্ভাবনা নেই। তবুও ক্ষীন আশা নিয়ে বাংলা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে উডেন উদ্যানে লড়াই শুরু করে দিল। তারপরে এই ম্যাচ শেষে বাংলার অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উইকেটরক্ষক—ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা তাঁর গ্লাভস ও ব্যাট তুলে রাখবেন আলমারিতে। সেই কারণেই এই ম্যাচের গুরুত্বটা অন্যরকম হিসাবে দেখতে চাইছেন ঋদ্ধিমান নিজেও। তাঁর ক্রিকেট জীবনে শেষ ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখবার জন্য সেরা খেলা উপহার দেবার চেষ্টা করছেন। উইকেটরক্ষক ভূমিকায় তিনি দুটি ক্যাচ তালু বন্দি করেন। চেষ্টা করছেন ব্যাট হাতেও বাংলাকে ভরসা দিতে।

এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলা অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। বাংলার পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করেন। সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ও সুমিত মোহন্ত ৪টি করে উইকেট তুলে নেন। এ ছাড়াও মহম্মদ কাইফ নিয়েছেন দুটি উইকেট। পঞ্জাবকে ১৯১ রানেই অলআউট হয়ে যায়। অনুষ্টুপদের মতো পঞ্জাবের কাছেও নকআউটের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে মর্যাদার ম্যাচে কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ।

বাংলার ওপেনিং জুটি শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস হয়নি। দলীয় ১৮ রানে অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় এবং ৪২ রানে আর এক ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্য়ায় আউট হয়ে যান। তারপরেই সুদীপ ঘরামির উইকেটও হারাতে হয় বাংলাকে। তবে অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুমন্ত গুপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলার রান তোলার গতিও প্রশংসনীয়। কিন্তু দিনের শেষে চাপে রাখল ব্য়াটিংই। খেলা শেষের কিছুক্ষণ আগেই ক্যাপ্টেন অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট হারায় বাংলা। ৪৪ বলে ৩২ রান করেন অধিনায়ক অনুষ্টুপ।

পঞ্জাবের ১৯১ রানের জবাবে প্রথম দিনের শেষে ১১৯ রান তুলে নিয়েছে বাংলা। সুমন্ত গুপ্তর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন নাইটওয়াচম্যান সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। এখনও অভিষেক পোড়েল, ঋদ্ধিমান সাহার মতো ব্যাটসম্যানরা রয়েছেন। দ্বিতীয় দিনের সকালটা বাংলার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তবে কুয়াশায় যদি মাঠ ভিজে থাকে তাহলে অত্যন্ত সতর্ক ভূমিকা নিয়ে বাংলাকে মোকাবিলা করতে হবে পাঞ্জাবের বোলারদের বিরুদ্ধে। বাংলা এখনও ৭২ রানে পিছিয়ে রয়েছে। ঘরের মাঠে বাংলা প্রথম দিনের শেষে কিছুটা চাপের মধ্যেই রয়েছে।