দীর্ঘ ১২ বছর পর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উচ্ছ্বাস দেখলেন গম্ভীর

Written by SNS May 5, 2024 1:49 pm

মুম্বই— হার্দিক পাণ্ডিয়ার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ঘরের মাঠে এবারে হারল৷ মুম্বই হেরে গেল কলকাতা নাইটরাইডার্সের কাছে৷ ১২ বছর বাদে আবার মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে জয়ের মুখ দেখল কেকেআর৷ সেই সময় কেকেআরের অধিনায়ক চিলেন গৌতম গম্ভীর৷ আর এবারে সেই গৌতম গম্ভীর কেকেআরের মেন্টর৷ দ্বিতীয়বারের জন্য এই হার হল কেকেআরের কাছে মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে৷ গত শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর দল চাপের মধ্যে ছিল৷ ১৯.৫ ওভারে কলকাতা দল ১৬৯ রান করে ইনিংস শেষ করে৷ তার জবাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রান করে হার মেনে নেয়৷ প্রথমে মুম্বইয়ের সমর্থকরা ভেবেছিলেন, হয়তো শাহরুখের দলকে এই মাঠে হারিয়ে দেবেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা৷ কিন্ত্ত এই ভাবনা অন্ধকারেই থাকল৷ শেষ পর্যন্ত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের রং বেগুনিতে ভরে গেল৷ জেতার পরে কলকাতার মেন্টর গৌতম গম্ভীর বলেন, এই ফলাফলের জন্য সবচেয়ে বেশি অভিনন্দন দিতে হবে খেলোয়াড়দের৷

ব্যাটসম্যান থেকে শুরু করে বোলাররা যেভাবে খেলার চরিত্র পাল্টিয়ে দিয়েছেন, তা ভাবা যায় না৷ ১২ বছর বাদে এই ছবিটা দেখতে পাওয়াটা অত্যন্ত আনন্দের৷ আইপিএল ক্রিকেটে সবসময় কেকেআরের বিরুদ্ধে মুম্বই দল দাপট দেখিয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত ৩২ বারের সাক্ষাৎকারে মুম্বই জিতেছে ২৩ বার৷ আর সেখানে কেকেআর দল জিতেছে ৯ বার৷ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের এই পরিসংখ্যান দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় মুম্বই দল সবসময় কেকেআরের বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকে৷ এই জয়ের কৃতিত্বের জন্য বিশেষ করে বোলারদের ভূমিকাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে৷ এখনও পর্যন্ত কেকেআর ১০ ম্যাচে সাতটিতে জিতেছে৷ অর্থাৎ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্টের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে৷ প্লে অফ খেলার দিকে ক্রমেই পা বাড়িয়ে রাখছেন শ্রেয়স আইয়াররা৷ অন্যদিকে মুম্বই দল ১১টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জয়ের মুখ দেখল৷ অর্থাৎ তাদের মাত্র ৬ পয়েন্ট৷ নবম স্থানে রয়েছে তারা৷ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাট টাইটানন্সের ফলাফলের উপরে মুম্বই দলের অবস্থান কীরকম হবে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ যদি বেঙ্গালুরু জিতে যায়, সেক্ষেত্রে হার্দিক পাণ্ডিয়াদের চলে যেতে হবে একেবারে তলানিতে৷ এককথায় বলা যায়, হার্দিক পাণ্ডিয়াদের প্লে অফ ম্যাচ খেলা খুব কঠিন ব্যাপার৷

মুম্বই দলের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া বুঝতেই পারছেন না কেন তাঁদের এইরকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে৷ সেই কারণেই নতুন অধিনায়ককে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে৷ কলকাতা নাইটরাইডার্সের কাছে হেরে যাওয়াটা খুবই খারাপ হয়েছে৷ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দলের এই অবস্থার জন্য হার্দিক পাণ্ডিয়ার দিকেই সবাই আঙুল তুলছেন৷ হার্দিক পাণ্ডিয়া নিজে এখন নীরবতা পালন করছেন৷ তিনি মনে করেন, ব্যাটিংয়ের জন্য আমরা অনেক ম্যাচ হেরে গিয়েছি৷ ক্রিকেট মাঠে জুটি বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে না৷ ক্রমাগত উইকেট হারানোর ফলে ম্যাচ জেতার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এইভাবে খেললে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়৷ অবশ্য মুম্বই দলের তারকা ক্রিকেটারের অভাব নেই৷ কিন্ত্ত তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না দলের৷ তাহলে কি হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বে কোনও ভুল আছে? সেদিক দিয়ে হার্দিক পাণ্ডিয়া হয়তো বলবেন, দল হারলে অবশ্যই অধিনায়কের উপরে চাপ বাড়বেই৷ প্রশ্ন উঠবে, দলের অবস্থান নিয়েও৷

তাই জবাব দেওয়ার মতো কিছু বলার নেই৷ ব্যাটসম্যানদের জন্য দলের হার হলেও হার্দিক পাণ্ডিয়া বোলারদের প্রশংসা করেছেন৷ এটা বড় গলায় বলতে পারা যায়, কেকেআরের মতো দলকে বোলাররা ১৬৯ রানে আটকে দিয়েছেন৷ বোলাররা ভালো বল করেছেন বলেই কেকেআরের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি৷ এটা মনে রাখতে হবে, কেকেআর দলকে এত কম রান আটকে রাখা খুবই কঠিন ব্যাপার ছিল৷ যখন মুম্বই দল মোকাবিলা করার জন্য মাঠে নামল, তখন দেখা গেল, ব্যাটসম্যানরা প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের কাছে হার মানছেন৷ তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, ব্যাটসম্যানদের তুলনায় বোলাররা অনেক বেশি সাফল্য দেখাতে পেরেছেন৷