বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল হানা দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির মোড়ের বাড়িতে। তাঁর নার্সিংহোমেও ঢোকে সিবিআই-এর একটি দল। প্রায় দেড়ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালানোর পর সুদীপ্তর বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই আধিকারিকরা।
বাড়ি থেকে সিবিআই আধিকারিকদের চলে যাওয়ার পর সুদীপ্ত সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছে। তাই তদন্তে সহযোগিতা করতে তিনি প্রস্তুত। তিনি এদিন বলেন, ‘ ১৯৮৪ সালে আমি নার্সিংহোম তৈরি করি। বাম আমলে তিলে তিলে এটাকে দাঁড় করিয়েছি। যে কেউ আমার নার্সিংহোমে গিয়ে যাচাই করতে পারেন, আমি এমন কিছু কাজ করেছি কি না।’
উল্লেখ্য, সুদীপ্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। ২০২৩ সালের প্রথম থেকে এই পদে রয়েছেন তিনি। মাঝে একবার তাঁকে সরিয়ে শান্তনু সেনকে এই পদে বসানো হয়। পরে অবশ্য সুদীপ্তকে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁর পুরোনো পদে।
Advertisement
আরজি কর কাণ্ডের দিন হাসপাতালে সুদীপ্তকে দেখা গিয়েছিল। গোটা ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন।
Advertisement
২০০৯ সাল থেকে শ্রীরামপুর বিধানসভার বিধায়ক তিনি। তবে, তাঁর বাসভবন বিটি রোড সংলগ্ন দমদমের সিঁথির মোড় এলাকায়। সেখানে তাঁর একটি নার্সিংহোমও রয়েছে, যেখানে সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে বর্তমানে।
আরজি করের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পর তিনি বেপাত্তা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সুদীপ্তের এই ‘নিখোঁজ’ হওয়া নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘সুদীপ্ত রায় সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। একসময় শ্রদ্ধা করতাম। আরজি করের মেশিন নিজের নার্সিং হোমে লাগিয়েছেন। পুরোনো মেশিন আরজি করে চালান দিয়েছেন।’
Advertisement



