• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মমতার নির্দেশে বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে পাড়ি দিচ্ছেন সুস্মিতা ও সাকেত, দু’দিন থাকবে প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্তমানে ভূমিধসে বিধ্বস্ত কেরলের ওয়েনাড়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডিআইজি মহসিন শাহিদি জানিয়েছেন, দু’শোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কেরলের পাশে দাঁড়াতে এবার এগিয়ে এলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ওয়েনাড়ে দুই সাংসদকে পাঠাচ্ছেন মমতা, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ক পোস্ট করে সে কথাই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পোস্টে মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্তমানে ভূমিধসে বিধ্বস্ত কেরলের ওয়েনাড়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডিআইজি মহসিন শাহিদি জানিয়েছেন, দু’শোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কেরলের পাশে দাঁড়াতে এবার এগিয়ে এলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ওয়েনাড়ে দুই সাংসদকে পাঠাচ্ছেন মমতা, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ক পোস্ট করে সে কথাই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পোস্টে মমতা জানিয়েছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার দুই সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলে যাবেন কেরলের বিধ্বস্ত এলাকায়।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মমতা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “কেরলের ওয়েনাড ভূমিধসের খবরে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এটা সত্যিই একটি মারাত্মক বিপর্যয়। মানবিক কারণে আমরা দুই সাংসদ – সাকেত গোখলে এবং সুস্মিতা দেবের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছি। তাঁরা ওয়েনাড়ে গিয়ে দু’দিন থাকবেন। দেখা করবেন মৃত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে।” কেরলের দুর্ঘটনা তথা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কেরলকে সাহায্য করতে দেশ জুড়ে একের পর এক রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানেরা এগিয়ে আসছেন। ব্যতিক্রমী হলো না বাংলাও। বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের পাশে দাঁড়াতে মমতার নির্দেশে এবার সাকেত এবং সুস্মিতা পাড়ি দিচ্ছেন কেরল।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছিল ওয়েনাড়ে। যার জেরে চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, অট্টামালা, নুলপুঝার মতো গ্রামগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ওয়েনাড় পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের, যেখানে সারা বছর স্নিগ্ধ, শান্ত পাহাড়ের মনোরম শোভা, সেই ওয়েনাড়ে এখন শুধুই স্বজন হারানোর কান্নার রোল। ধসে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডিআইজি মহসিন শাহিদি জানিয়েছেন, দু’শোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মানুষের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

Advertisement