টেট মামলায় প্রাক্তন বিচারপতির রায়ে ‘না’ সুপ্রিম কোর্টের

Written by SNS May 10, 2024 11:43 am

নিজস্ব প্রতিনিধি– বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ মামলায় রায় দিল৷ গত ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৯২৯টি শূন্যপদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল৷ সে বিষয়ে নতুন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ ওই শূন্যপদগুলিতে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ গত ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওই ৩৯২৯টি শূন্যপদ যোগ করে দেওয়া হয়েছে৷ সেই অনুযায়ী নিয়োগ হবে৷ এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ নিয়ে এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট ভিন্ন নির্দেশ দিয়েছিল৷ কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগের পদগুলিতে মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ তবে এদিন হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে মান্যতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট৷ ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল৷ ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ কিন্ত্ত অভিযোগ, ওই শূন্যপদ পুরোটা পূরণ করা হয়নি৷ ৩৯২৯টি পদ খালি রয়েছে৷

এই মামলায় হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে ওই পদে নিয়োগ করা হবে’৷ কিন্ত্ত ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা৷ তাঁদের দাবি, ‘২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে৷ এরফলে নতুন নিয়োগের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত৷ সেখানে শুধু ২০১৪ সাল নয়, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত’৷ এই মামলায় হাইকোর্টের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘ওই শূন্যপদগুলির দাবিদার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরাই৷ তাই ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা সুযোগ পাবেন না’৷ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণেরা৷

বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হূষীকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে৷ আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যতের শূন্যপদের সঙ্গে ওই ৩৯২৯ পদটি যুক্ত করে দেওয়া হবে৷ সেখানে আবেদন করতে পারবেন টেট উত্তীর্ণরা৷ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের এসএসসি ‘দুর্নীতি’ সংক্রান্ত মামলাও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে৷ ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ তাতে চাকরি বাতিল হয় ২৫,৭৫৩ জনের৷ অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বেতনও ফেরত দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ৷ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার৷ আপাতত চাকরি বাতিলের নির্দেশে আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তারই পরে টেট মামলাতেও নতুন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷