চাইলে সিবিআই তদন্ত দাবি করতে পারেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতা এবং মৃতা চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে এই পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ সৌগত রায়। শনিবার দুপুরে মন্ত্রী শোভনদেব এবং তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় মৃতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় এই প্রস্তাব দেন তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি।
তাঁরা কথা বলে বেরিয়ে আসার সময় জানান, মৃতার পরিবার তাঁদের পরিচিত। দমদমের সাংসদ সৌগত বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলার বলে দিয়েছেন। তিনি নিজে ব্যাপারটা দেখছেন। কলকাতা পুলিশ এক জনকে ধরেছে। অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। আমি নিজে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি।’’ সাংসদের সংযোজন, ‘‘সান্ত্বনা দেওয়ার তো কোনও ভাষা নেই। ওঁরা বলছেন, ‘আমাদের তো সব গিয়েছে। আমরা এখন দোষীদের শাস্তি চাই।’ আমরাও শাস্তি চাই অপরাধীদের। মুখ্যমন্ত্রী সেটা বলেছেন।’’
Advertisement
এদিন শোভনদেব স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সাম্প্রতিক অতীতে এমন ‘বীভৎস খুন’-এর ঘটনা তাঁর নজরে আসেনি। তিনি বলেন, ‘‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। ভাবা যায় না! আমাদেরও সন্তান আছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে করতে হবে। তিনি ফাঁসি চেয়েছেন অপরাধীর।
Advertisement
আমি ব্যক্তিগতভাবে ফাঁসির পক্ষে না-হলেও এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমিও সেই দাবিই রাখছি। আমি ওঁদের ( বাবা-মা) বলেছি, ‘আপনারা সিবিআই তদন্তও চাইতে পারেন।’ কিন্তু ওঁরা বলছেন পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখছেন।’’ শোভন আরও জানান, এক জনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। পুলিশি তদন্তে তা বেরোবে।
তাঁরা বলেন, তাঁদের মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ন্যক্কারজনক ঘটনা। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দু’জনেই মৃতার বাবা-মায়ের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। শোভনদেব বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ওঁর পরিবার যদি অন্য কোনও এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতে চান, তা হলে তদন্ত করাতে পারেন। আমরাও সেই নির্দেশের কথাই পরিবারকে জানিয়েছি। তবে তাঁরা পুলিশি তদন্তে আস্থা রেখেছেন।’’
Advertisement



