• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ভাষণ না দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন মোদি: অভিষেক

নিজস্ব প্রতিনিধি – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ এবার রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টেনেই আসানসোলের জনসভা থেকে বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ শানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ ব্রিজভূষণ সিং এর ছেলে থেকে প্রজওয়াল রেভান্নার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হলেন অভিষেক৷ ওই আক্রমণের তীরেই বিঁধেছেন উত্তরপ্রদেশের

নিজস্ব প্রতিনিধি – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ এবার রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টেনেই আসানসোলের জনসভা থেকে বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ শানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ ব্রিজভূষণ সিং এর ছেলে থেকে প্রজওয়াল রেভান্নার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হলেন অভিষেক৷ ওই আক্রমণের তীরেই বিঁধেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও৷ তিনি বলেন, “রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ের বয়সী এক ছোট বোন শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন৷ এই বিজেপির কাছে আমাদের নারী সুরক্ষার কথা শিখতে হবে? যোগী আদিত্যনাথ এসে বাংলায় ভাষণ দেন, যাঁর আমলে হাথরাস হয়েছে, লখিমপুর খেড়ি হয়েছে! ভারতের সবচেয়ে ব্যর্থ, সাম্প্রদায়িক প্রধানমন্ত্রী যদি মোদি হন, তাহলে যোগী আদিত্যনাথ ভারতের সবচেয়ে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী৷” যোগীকে আক্রমণ করে অভিষেকের আরও সংযোজন, “যোগী আদিত্যনাথকে বলবো, বাংলার আসার আগে একটু হোমওয়ার্ক করে আসবেন৷ কলকাতা দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর, এমনটা বলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরই৷ কিন্ত্ত অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ যেখানে রয়েছে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার সেখানে সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হন তপশিলি জাতি, উপজাতিভুক্ত মানুষেরা৷”

শুক্রবারের তীব্র দাবদাহকে উপেক্ষা করেই বোলপুর ও আসানসোলে জোড়া জনসভা করেন যুবরাজ৷ আসানসোলের মাটিতে দাঁড়িয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির বিরুদ্ধে৷ দৃঢ় কণ্ঠে তিনি বলেন, “বিজেপি বাঙালিদের দেখলে বলছে রোহিঙ্গা, মুসলিমদের দেখলে বলছে পাকিস্তানী, শিখদের দেখলে বলছে খলিস্তানি৷ আর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী তাঁদেরই পাশে বসিয়ে মিটিং করছেন৷ যারা বিচ্ছিন্নতাবাদের রাজনীতি করছে তাদের জন্য বাংলার এই পবিত্রভূমির এক ইঞ্চি জায়গা তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়বে না, তাতে আমাদের জীবন গেলে যাবে৷” এদিন সভামঞ্চ থেকে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া কেও সরাসরি নিশানা করেন অভিষেক৷ তাঁর ভাষায়, “কাকে প্রার্থী করেছে দেখেছেন? প্রথমে ছিল দার্জিলিং এ৷ সেখানে জেতার পর পাঁচ মিনিটও সময় দেননি৷ দার্জিলিং থেকে বিজেপিই তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলো বর্ধমান-দুর্গাপুরে৷ পাঁচ বছর কি করেছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের জন্য? আবার সেখান থেকে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে আসানসোলে৷

Advertisement

আসানসোল তো বাংলার বর্ডার! এবার এই বাংলা বিরোধীদের ঝেঁটিয়ে এখান থেকে বিদায় করতে হবে৷” বোলপুর, আসানসোল দুই সভামঞ্চ থেকেই অভিষেক তুলে ধরেছেন রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ান৷ বিজেপির ‘মূল্যবৃদ্ধির ট্রেলার’ দেখার পর তার ‘সিনেমা’ আর দেখতে চান কি না সাধারণ মানুষ, সেই প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন জনতার দিকে৷ সেই প্রসঙ্গেই অভিষেক বলেন, “২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি আসানসোলে সভা করে বলেছিলেন, আচ্ছে দিন আসবে তার বিনিময়ে তার বাবুলকে চাই৷ সেই বাবুল সুপ্রিয় ২০২২ সালে মোদি গ্যারান্টিতে বিশ্বাস না করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গ্যারান্টিতে বিশ্বাস করে আমাদের দলে নাম লিখিয়েছেন৷”

Advertisement

বোলপুরের সভা থেকেও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সেনাপতি৷ সভামঞ্চ থেকে ফের প্রধানমন্ত্রীকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক৷ গর্জে উঠে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, ভাষণ না দিয়ে শ্বেতপত্রটা প্রকাশ করুন৷ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে হারের পর বাংলায় আবাসের জন্য এক পয়সা বরাদ্দ করেছেন, তা প্রমাণ করতে পারলে আমি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তৃণমূলের কোনও প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইতে যাবো না৷”
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বাংলায় তিনটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী, এসেছিলেন বোলপুরেও৷ কিন্ত্ত এ প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি তিনি৷

Advertisement