• facebook
  • twitter
Friday, 6 December, 2024

লোকসভা ভোটে মেলেনি, তাই ভোটে সংখ্যা নিয়ে আর ভবিষ্যৎবাণী করবেন না প্রশান্ত কিশোর

দিল্লি, ৮ জুন: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভবিষ্যৎবাণী ভুল হয়েছে। সংখ্যার যে হিসেব তিনি দিয়েছিলেন, তাঁর থেকে ২০ শতাংশ মেলেনি। বাকিটা মিলে গিয়েছে। তিনি এক্সিট পোলের সমীক্ষার ফলাফল নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেসময় তিনি বলেছিলেন, এক্সিট পোল সমীক্ষায় বিজেপি যে ৩৫৩ থেকে ৩৮৩ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। তিনি লোকসভা

দিল্লি, ৮ জুন: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভবিষ্যৎবাণী ভুল হয়েছে। সংখ্যার যে হিসেব তিনি দিয়েছিলেন, তাঁর থেকে ২০ শতাংশ মেলেনি। বাকিটা মিলে গিয়েছে। তিনি এক্সিট পোলের সমীক্ষার ফলাফল নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেসময় তিনি বলেছিলেন, এক্সিট পোল সমীক্ষায় বিজেপি যে ৩৫৩ থেকে ৩৮৩ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। তিনি লোকসভা ভোটে মানুষের মনোভাবেরও হাল হকিকত ব্যক্ত করেছিলেন। বলেছিলেন, মানুষের ভিতরে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তবে সেই ক্ষোভ যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে, এমন নয়। তবুও ভোটের ভবিষ্যৎবাণীতে তাঁর সংখ্যার হিসাব দেওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন প্রশান্ত কিশোর। সেজন্য পি কে বলেন, “আমার এবং আমার মতো বাকি ভোটকুশলীদের অনুমান ভুল হয়েছে। আমরা সেই ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি। আমি আর নির্বাচনে আসন সংখ্যা নিয়ে কিছু বলব না।”

তিনি বলেন,“আমি নিজের হিসাব আপনাদের সামনে রেখেছিলাম। আমি ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করে নিচ্ছি যে, নম্বরের হিসাবে ভুল করেছিলাম। ২০ শতাংশ আসন সংখ্যায় ভুল হিসাব করেছি। আমরা বলছিলাম যে, বিজেপি ৩০০-র কাছাকাছি আসন পাবে। কিন্তু বিজেপি ২৪০ আসন পেয়েছে। কিন্তু আমি আগেই বলেছিলাম, জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তবে তা নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেবে, সেরকম নয়।”

প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, “আমি বলেছিলাম যে, বিরোধীদের কোনও ইতিবাচক প্রভাব নেই জনগণের মধ্যে। কিন্তু সেটাও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আপনারা যদি সংখ্যার বিচারের উর্ধ্বে যান, তবে এটা কিন্তু ভুল নয়। শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ভোটকুশলী হিসাবে আমার কখনও সংখ্যার হিসাবে যাওয়াই উচিত হয়নি। বিগত দুই বছরে আমি এই ভুল করেছি। এক, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময়, দুই, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়। যদি সংখ্যা সরিয়ে রাখেন, তবে আমি কিন্তু ঠিকই বলেছি।”

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের করা ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গিয়েছিল। আবার ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও প্রশান্ত কিশোরের সমীক্ষা হুবহু মিলে গিয়েছিল। তিনি ২০২১-এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আগাম বলেছিলেন, রাজ্যে বিজেপি-র আসন সংখ্যা তিন ডিজিটে পৌঁছতে পারবে না। দুই ডিজিটেই থেমে যাবে। অর্থাৎ বিজেপি কোনও মতেই ১০০ আসন পূর্ণ করতে পারবে না। বিধানসভা ভোটের গণনার পর সেটাই সত্যি হয়ে যায়। মাত্র ৭৭ আসনেই বিজেপি-র বিজয়রথ থেমে যায়।

এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর মন্তব্যের একাধিক ফ্যাক্টর মিলে গিয়েছে। যেমন তিনি বলেছিলেন, এবারও মোদী সরকার ক্ষমতায় আসবে। বিজেপি দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে শক্তিবৃদ্ধি করবে। সেটাও মিলে গিয়েছে। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, বিজেপি ৩০০ থেকে ৩১৫ আসনের মতো পেতে পারে। এমনকি এনডিএ-র শরিকদলের আসন মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা ৩৭০-এর মতো হবে। ভোট কুশলীর এই কথাটি মেলেনি। বিজেপি এবার মাত্র ২৪০ আসনে থেমে যায়। এবং এনডিএ-র প্রাপ্ত আসন সংখ্যা মিলিয়ে সেটা দাঁড়ায় ২৮৯টি-র মতো। এই ঘটনার পর তিনি ভোট নিয়ে আসন সংখ্যার ওপরে আর ভবিষ্যৎবাণী করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।