বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড়ার কনভয়ে হামলা ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন রাজ্য রাজনীতি তােলপাড় খাচ্ছে এবং বিজেপি কর্মীরা বিভিন্ন জায়গাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ টুইট করে জানাল, নাড্ডার কনভয়ে কিছু হয়নি।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সুরক্ষিতভাবে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছেন। তার কনভয়ে কিছু হয়নি। দেবীপুর, ফলতা থানা এলাকা ও ডায়মন্ডহারবাঝে মধ্যে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু মানুষ হঠাৎ তার কনভয়ের বেশ কিছুটা পিছনে থাকা কয়েকটি গাড়িতে ইট ছোঁড়ে। সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঠিক কি হয়েছিল তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
Advertisement
এরই মধ্যে বিজেপির তরফে যে সকল ভিডিও সােশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, নাড্ডার কনভয় যখন ডায়মন্ডহারবারের দিকে যাচ্ছে তখন বেশ কিছু জায়গাতে রাস্তার দুধারে লােক জড়াে হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে এবং তেড়েও যাচ্ছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের এই টুইট নিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানান, বাংলার পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পােষা তােতাপাখি। ওই টুইট তৃণমূল ভবন থেকে হয়েছে । গােটা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন কী হয়েছে ডায়মন্ডহারবারে। ভিডিওতেও স্পষ্ট কারা সেই হামলা চালিয়েছে।
সায়ন্তনবাবু আরও বলেন , পিসি-ভাইপাে মিলে যাদের জন্য তোষণ করছেন দশ বছর ধরে তারাই আজকে আমাদের নেতার কনভয়ে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানাে মুশকিল। আজকে যেমন সন্ত্রাস উপেক্ষা করে নাড়া লক্ষ্যে পৌঁছেছেন, একুশেও আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব।
বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, নাড্ডার কনভয়ে ইট ও বােতল ছোঁড়া হয়েছে। ১৫ টি গাড়ি ভাঙচুর কর হয়েছে। বিজেপির নেতা অনুপম হাজরা সহ একাধিক নেতা রক্তাক্ত হয়েছেন। শাসকদলের তরফে সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে খোঁচাতে যাওয়ার কী দরকার ছিল’।
Advertisement



