ঘানি-সিআইএ প্রধান গােপন বৈঠক আফগান পরিস্থিতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন মােদি

চলতি আফগান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে টানা ৪৫ মিনিট কথা বলেছেন। তা নিজেই টুইট করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

Written by SNS Delhi | August 25, 2021 1:07 pm

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Photo:SNS)

চলতি আফগান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে টানা ৪৫ মিনিট কথা বলেছেন। তা নিজেই টুইট করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমার বন্ধু।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে বিস্তারিত প্রয়ােজনীয় মতামত বিনিময় হয়। কোভিড মােকাবিলায় ভারত রুশ সম্পক সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে’। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে আফগানিস্তানে তালিবান দখলদারি নিয়ে পাকিস্তান চিনের পাশাপাশি রাশিয়া নরম তালিবানদের প্রতি।

কাবুলে ভারতীয় কুটনৈতিক ভবন কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিলেও রাশিয়া এখনও কাজকর্ম চালাচ্ছে কাবুলে। তালিবানদের মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট মস্কোর সাথে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে টানা ৪৫ মিনিট কথা বললেন।

কুড়ি বছর আগেকার তালিবান থেকে এখন অনেক পরিণত বর্তমান তালিবান নেতৃত্ব। যা চিন ও রাশিয়ার মত শক্তিধর দেশের সমর্থন আদায়ে বােঝা যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা না সরাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আর্জি জানানাে হয়েছে বিভিন্ন দেশের তরফে।

এর মধ্যেই তালিবানের সঙ্গে সিআইএ প্রধানের গােপন বৈঠকের খন্দ্র সামনে এল। সুত্রের খবর, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার ডিরেক্টর উইলিয়াম জে ব্রুনস তালিব নেতা বরাদর ঘানির সঙ্গে একটি গােপন বৈঠক করেন। সােমবার এই বৈঠক হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পােস্ট।

সিআইএ শীর্ষকর্তার সঙ্গে তালিবানদের এই বৈঠক ঘিরে ব্যাপক শােরগােল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিআইএ এই বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেয়নি।

জানা গিয়েছে, মূলত অগাস্টের মধ্যে মার্কিন সেনা সরানাে নিয়েই আলােচনা হয়েছে এই বৈঠকে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে আবদুল ব্রাদর ঘানিই মার্কিন এই সংস্থার সঙ্গে একাধিকবার শান্তি বৈঠক করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

আগে মার্কিন সেনাকে হুশিয়ারি দিয়েছিল তালিবান। সংগঠনের মুখপাত্র সুহেইল শাহি স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ৩১ আগস্টের মধ্যে আমেরিকান সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। যদি সেটা না হয়, তার অর্থ আফগানিস্তানে বাড়তি মার্কিন সেনা রয়েছে। যা থাকার কথা নয়।

মনে রাখবে, ডেডলাইন নয়, ওটা রেডলাইন’! আফগানিস্তানের বেশিরভাগ জায়গা থেকে সেনা সরানাের প্রক্রিয়া শুরু হতেই দেশের দখল নিতে শুরু করে তালিবান। বাইডেন সরকারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে।

তালিবান জানায়, সঠিক সময়ে সেনা সরিয়ে না নিলে বিষয়টি মার্কিনীদের পক্ষে ভালাে হবে না। তালিবান মুখপাত্র সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকা বা ব্রিটেন যদি বাড়তি সময় চায়, তাহলে কট্টরপন্থী সংগঠন কোনওভাবেই তাদের আবেদন গ্রাহ্য করবে না।

এদিন ‘ভালাে হবে না’ গােছের মনােভাব দেখিয়েছেন তিনি। এখনও কাবুল বিমানবন্দর সহ বেশকিছু জায়গায় মার্কিন সেনা সহ নাগরিকরা আছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে তালিবানরা আমেরিকাকে হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে পুরােপুরি মার্কিন সেনা না সরালে পরিণতি ভালাে হবে না।

ঠিক এহেন প্রেক্ষাপটে আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, তালিবানদের সাথে প্রতিনিয়ত আলােচনা চলছে আমেরিকার। এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য মার্কিনীদের আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনা। রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা স্তরে আমরা প্রতিনিয়ত তালিবানদের সাথে কথা বলছি।

কি ব্যাপারে আলােচনা হয়েছে। তা এখন জানানাে সম্ভব নয়। তবে এইটুকু বলতে। পারি একাধিক বিষয়ে দুপক্ষের কথা হয়েছে। তাপরদিকে উত্তর আফগানিস্তানের ৩ টি জেলা পুনর্দখল নিয়েছে তালিবান।

এগুলি নর্দান এলায়েন্স দখল করেছিল। পঞ্জশি এলাকা ঘিরে রেখেছে তালিবান যােদ্ধারা। তিনশাের বেশি তালিবান মারা গেছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি।