সংকটকালে মহুয়ার পাশে মা মঞ্জু, মাকে ‘বাঘিনী’ আখ্যা মহুয়ার

Written by SNS April 4, 2024 11:33 am

নিজস্ব প্রতিনিধি– মায়ের মঙ্গে মহুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ এই কথোপকথন তুলে ধরেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র নিজেই৷ মাকে ‘আসল বাঘিনী’ বলেও আখ্যা দেন মহুয়া৷ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে পিএমএলএ-তে অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি৷ এর পরেই মহুয়ার মা মহুয়াকে হোয়াট্সঅ্যাপে বার্তা পাঠান৷ মায়ের সেই বার্তা বুধবার দুপুরে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মহুয়া৷

তৃণমূলের একাংশের আশঙ্কা, লোকসভা ভোটের আগে গ্রেপ্তার করা হতে পারে মহুয়া মৈত্রকে৷ জটিল এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ালেন তাঁর মা মঞ্জু মৈত্র৷ মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে মায়ের বার্তা, “আমার নামে একটি পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি তৈরি করে রাখ৷ ওরা যদি তোমাকে গ্রেপ্তার করে, আমি তোমার হয়ে মনোনয়ন জমা দেব৷” স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে মহুয়া লিখেছেন, ‘‘বিজেপির ইডি, সিবিআইয়ের এই দৈনিক প্রেমের উদ্যাপন নিয়ে আমার মায়ের জবাব৷ ইউ রক মাম্মি৷ আসল বাঘিনি৷’’

প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে সপ্তাহে মহুয়া ও দর্শন হিরনন্দানিকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ মূলত বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত আইন বা ফেমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে৷ কিন্ত্ত প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে ইডির তলবে হাজিরা দেননি মহুয়া৷ হাজিরা দেননি দর্শন হিরানন্দানিও৷ ইডি কর্তারা যে মহুয়ার লোকসভা ভোটের প্রচার সংক্রান্ত ব্যস্ততাকে গুরুত্ব দেননি তা কার্যত মঙ্গলবারের পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট৷

তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়াকে এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় ইডি৷ মহুয়া প্রতিবারই তলব এডি়য়ে যান৷ কারণ হিসেবে ভোটে ব্যস্ত থাকার কথা জানান তিনি৷ গত সপ্তাহে মহুয়াকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি৷ কিন্ত্ত মহুয়া জানিয়েছিলেন, তিনি ভোটের আগে তাঁর কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে থাকবেন৷ তিনি ভোটের প্রচারে ব্যস্ত৷ তার মধ্যেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নতুন করে সমন জারি করে মহুয়া এবং তাঁর পরিচিত দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে ডাক পাঠিয়ে৷ ইডি সূত্রের খবর, দুজনকেই বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে জেরা করা হতে পারে৷

এর আগে মহুয়ার কলকাতার একটি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই৷ পরে তল্লাশি চালানো হয় মহুয়ার কৃষ্ণনগরের একটি ঠিকানাতেও৷ একইসঙ্গে তাঁর দফতর এবং করিমপুরের বাডি়তেও যান তদন্তকারীরা৷ তবে কলকাতার ওই ঠিকানাটি মহুয়ার বাবা – মায়ের৷ জানা যায়, সিবিআই তল্লাশির সময়ে মহুয়ার মা মঞ্জু মৈত্র সেখানেই উপস্থিত ছিলেন৷

বুধবার সকালে আলাদা পোস্টে একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম তুলে ধরে মহুয়ার কটাক্ষ করে লেখেন, ‘খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার, আ যাও নহি তো অব কে বার তিহার’৷ অর্থাৎ, বিজেপির দরজা খোলাই আছে৷ এবার চলে এসো৷ নয়তো ঠিকানা হবে তিহার জেল৷ প্রসঙ্গত, আপ শীর্ষনেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় তিহার জেলে বন্দি৷ মহুয়ার অভিযোগ, এটা বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়৷ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের যেমন ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন রয়েছে, তেমন বিজেপির ইডি, সিবিআই রয়েছে৷ ’’

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশিকে মহুয়ার দলের পক্ষ থেকে বারবারই রাজনৈতিক উদ্দেশ প্রণোদিত বলা হয়েছে৷ বুধবার মায়ের বার্তার স্ক্রিনশট দিয়ে মহুয়া মৈত্র বোঝাতে চাইলেন, শুধু দল নয় এই লড়াইয়ে পাশে রয়েছেন তাঁর মা-ও৷