শিয়ালদা মেন লাইনের স্টেশন পরিদর্শনে ডিআরএম

আট মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে লােকাল ট্রেন।শিয়ালদহ উত্তর শাখার মেইন লাইনের বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করলেন ডিভিশনের ডিআরএম।

Written by SNS Barrackpore | November 10, 2020 4:12 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

দীর্ঘ প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে লােকাল ট্রেন। তার আগে সােমবার শিয়ালদহ উত্তর শাখার মেইন লাইনের বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করলেন ডিভিশনের ডিআরএম।

এদিন দুপুরে ডি আর এম শৈলেন্দ্রপ্রতাপ সিং রেল আধিকারিক ও আরপিএফের কর্তাদের নিয়ে দমদম, বারাকপুর, নৈহাটির মতাে জংশন স্টেশনগুলি পরিদর্শন করেন। প্রতিটি স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে যাত্রীরা কোথা থেকে স্টেশনে প্রবেশ করবে এবং কোথা থেকে বের হবে, তা নির্ধারণ করেন। পাশাপাশি, পুলিশি ব্যবস্থা কি থাকবে, তা নিয়েও স্টেশন ম্যানেজারদের সঙ্গে আলাপ-আলােচনা করেন।

প্রসঙ্গত, করােনা সংক্রমণ রাজ্যে দেখা দিতেই ২২ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়। সেই থেকে লােকাল ট্রেন বন্ধ। লকডাউন কাটিয়ে ধীরে ধীরে আন লকডাউন পর্ব শুরু হলেও লােকাল ট্রেন চালানাে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ ছিল রাজ্য প্রশাসন। লােকাল ট্রেন চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় রাজ্যের তরফে। এমতাবস্থায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা রাজ্যকে অন্যভাবে ভাবতে বাধ্য করে।

এরপর রেলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বুধবার থেকে শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে প্রায় ৬০০ লােকাল ট্রেন চালানাে হবে। তার আগের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন বেলায় দমদম স্টেশন হয়ে বারাকপুর স্টেশনে হাজির হন শিয়ালদহ ডিভিসনের নজরদারি বাড়ানাে ডিআরএম শৈলেন্দ্রপ্রতাপ সিং।

তিনি স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখেন। সেখানে হাজির ছিলেন রেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিরা। এরপর ডিআরএম নৈহাটি ও কল্যাণী স্টেশনও পরিদর্শন করেন। বারাকপুরে দাঁড়িয়ে ডিআরএম শৈলেন্দ্রপ্রতাপ সিং জানান, করােনা আবহে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ট্রেন চালানাে হবে। শিয়ালদহ ডিভিশনে মােট ৪১৩ টি ট্রেন চলবে। কিন্তু গ্যালপিং ট্রেন চলবে না।

ট্রেন  ছাড়ার আগে কারশেডে ট্রেনগুলিকে স্যানিটাইজ করা হবে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নজর বাড়ানো হবে। তবে ট্রেনে হকাররা চাপতে পারবেন না। প্লাটফর্মের দোকানদাররা দোকান খুলতে পারলে না। হকারদের ট্রেনে উঠতে না দেওয়া ও স্টেশন বতে না দেওয়া নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

এদিনই বারাকপুর স্টেশনের বাইরে ক্ষোভ প্রকাশ ফরেন রেল কার্স ইউনিয়ন। তারা জানান, রেললাইনের সঙ্গে রেলের কামরার যা সম্পর্ক, কামরার সঙ্গে হকারদের সেই সম্পর্ক। আপাতত তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, হকারি করার। এরপর বাধা পেলে আন্দোলনে যাবেন।

এদিকে সিআইটিইউ-র পক্ষে গাগী চ্যাটার্জি বলেন , তারা দেখছেন ডিআরএম ও স্টেশন ম্যানেজারদের নােটিশ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বুধবার থেকে হকাররা হকারি করবে ও স্টেশনের পাশে দোকানদাররা দােকানদারি করবে। তারা প্রতিটি স্টেশনে যাবেন।

এদিকে, আরপিএফের তরফে জানানাে হয়, তারা তাদের সাধ্যমতাে চেষ্টা করবেন। রাজ্য প্রশাসন দেখবে। কিন্তু যাত্রী সাধারণকে সচেতন হতে হবে।