বৃষ্টি থামার নাম নিচ্ছে না। একের পর এক বন্যায় মানুষ বিপর্যস্ত। বাড়ি, জমানো টাকা হারিয়ে মানুষ সাহস হারিয়ে ফেলছে। এই সময় একে অন্যের উপর দোষারোপ না করে মানুষকে কীভাবে বাঁচিয়ে রাখব সেই নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাবনাচিন্তার দরকার।
সোমবার পিংলা, ডেবরায় বন্যা বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে এই মন্তব্য করেন ঘাটালের সাংসদ দেব। বন্যার্তদের ত্রাণও তুলে দেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি, সাংসদ প্রতিনিধি সীতেশ ধাড়া, বিবেক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
Advertisement
এছাড়াও বন্যায় দেওয়াল চাপা পড়ে প্রাণ হারানো ব্যক্তির পরিবারের হাতে এদিন আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের একাধিক এলাকা এখনো জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে।
Advertisement
বহু মানুষ এখনো পর্যন্ত বাড়ি ছাড়া, অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে কোনভাবে দিন কাটাচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষেরা। কার্যত জলমগ্ন অবস্থার কারণে দুর্ভিক্ষের চেহারা নিয়েছে গোটা ঘাটাল এলাকা। বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে এই জলমগ্ন হওয়ার কারণে।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে বহু মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী সহ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের পাশে রয়েছে প্রশাসন, সোমবার দুপুরের পর ঘাটালের বিস্তৃর্ণ বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব।
সোমবার ঘাটাল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন সাংসদ দেব। পাশাপাশি গত দু তিন দিন আগে জলমগ্ন হওয়ার কারণে ঘাটাল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এইদিন মৃত শিশুর পরিবারের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করলেন সাংসদ। পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের সাথে দেখা করেন এবং কথোপকথন করেন, কিছু দুর্গত মানুষের হাতে তিনি ত্রাণ তুলে দেন।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ দীপক অধিকারী বলেন, এখন সব থেকে বড় কাজ হলো এইসব বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, ধীরে ধীরে কিছু এলাকায় জল নামলেও এখনো বহু এলাকা জলমগ্ন, প্রচুর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছে এই সময় তারা যেন বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ায়, তাদের দুবেলা খাওয়া সহ মাথা গোঁজার ঠাঁই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে কার্যত জল যন্ত্রণার মধ্যে ভুগছে হচ্ছে গোটা ঘাটাল এর বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের।
Advertisement



