কোন্নগরের ১৩৫ বছরের প্রাচীন জাগ্রত মা শকুন্তলা কালী পূজা উপলক্ষে ভক্তদের ঢল

Written by SNS April 28, 2024 3:30 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, শিয়াখালা, হুগলি, ২৭ এপ্রিল— শনিবার কোন্নগরে ১৩৫ বছরের প্রাচীন জাগ্রত মা শকুন্তলা কালীর সারা রাত্রি ব্যাপি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ কয়েক লক্ষ ভক্তদের ঢল নামে এখানে৷ তারা শুক্রবার সারারাত ধরে মায়ের বেদীতে জল ঢালেন৷ এই জল ঢালা অনুষ্ঠান চলে শনিবার দুপুর একটা পর্যন্ত৷ দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন মায়ের পূজা দেন৷ মায়ের বেদীতে জল ঢালেন, এবং যাদের মানত করা আছে তারা দণ্ডী কাটেন৷ এই পূজা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন৷ উল্লেখ্য আজ থেকে বহু বছর আগে ব্রিটিশ আমলে এই পূজার প্রচলন হয়৷ এখন যেখানে শকুন্তলা মায়ের কালীমন্দির সেখানে জঙ্গল ছিল৷ কথিত আছে সেই সময় সন্ধ্যেবেলায় এক ব্রাহ্মণ সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন হঠাৎ তিনি দূর থেকে দেখতে পান এক অল্প বয়সের সুন্দরী কন্যা স্নান সেরে সেখানে দাঁডি়য়ে আছেন৷ তা ব্রাহ্মণ একটু কাছে যাওয়ার পর চোখের পলকে সেই কন্যা অদৃশ্য হয়ে যায়৷ রাতে ব্রাহ্মণ ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন পায় যে স্বয়ং মা কালী তাকে ওই স্থানে মায়ের পূজা করার আদেশ দিচ্ছেন৷ ব্রাহ্মণ জঙ্গল পরিষ্কার করে একটি কুঁডে়ঘর তৈরি করলেন মায়ের পূজার জন্য সেখানেই মা পূজিত হতে লাগলেন৷ আস্তে আস্তে মন্দির তৈরি হলো ওইখানে উঁচু বট এবং অশথ্য গাছ ছিল যেখানে শকুন বসত সেই থেকে মায়ের নাম হয় মা শকুন্তলা৷ সেই ভাবে চলে আসছে পূজা৷ লোক বসতি বেডে় গেল মায়ের মন্দিরও ভালোভাবে হয়ে গেল বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের শেষ শনিবারে মায়ের পূজা পডে়ছে৷ শনিবার মায়ের প্রতিমা মন্দিরে নিয়ে আসা হয় সন্ধ্যে থেকে হয় পূজা, দুপুর থেকে ভক্তদের ঢল বাড়তে শুরু করে৷ সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক লক্ষ ভক্ত মন্দিরে চলে আসেন৷ এই পূজার বিশেষত্ব হলো এক হাজারেরও বেশি পাঁঠাবলি হয়৷ সূর্য ওঠার আগে মায়ের বিসর্জন হয় সারা বছর মন্দিরের বেদীতে ঘট পূজা হয়৷ কোন্নগর মা শকুন্তলা কালীর মায়ের পূজা কমিটির সম্পাদক পাঁচু গরাং বলেন এখানের মায়ের পূজা বহু প্রাচীন তা এবার ১৩৫ বছরে পড়ল৷ মায়ের সন্ধ্যা থেকে পূজা শুরু হয় সূর্য ওঠার আগে মায়ের বিসর্জন৷ প্রচুর ভক্তরা আসেন দূর দূরান্ত থেকে নানা জেলা থেকে আসে ভক্তরা৷ তারা পূজা দেয় মায়ের বেদীতে জল ঢালেন দন্ডি টানেন৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে প্রচুর পুলিশ আছে অনেক সি.সি ক্যামেরা মহিলা পুলিশও আছে আমরা সবার সহযোগিতা চাই৷ এখানে উপস্থিত আছেন উত্তরপাড়া থানার আই.সি.৷ এসিপি আলী রেজা, ডিসিপি সাহেব৷ এই উপলক্ষে এখানে দশ দিনের একটি মেলাও বসে৷