• facebook
  • twitter
Friday, 6 December, 2024

তীব্র গরমে ডেঞ্জার জোনে স্নান করতে যুবকদের ভিড়, বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাইথনের অমর ঝর্ণায়

সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: প্রচন্ড গরম থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে সালানপুর ব্লক সহ দূর-দূরান্ত থেকে যুবকদের ভিড় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মাইথনের অমর ঝর্ণায়। প্রতি বছর এই ঝর্ণায় দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। ডিভিসি এবং পুলিশের তরফে অমর ঝর্ণা যাবার রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। তারপরেও প্রচন্ড গরম থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষ ছুটে আসছেন অমর

সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: প্রচন্ড গরম থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে সালানপুর ব্লক সহ দূর-দূরান্ত থেকে যুবকদের ভিড় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মাইথনের অমর ঝর্ণায়। প্রতি বছর এই ঝর্ণায় দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। ডিভিসি এবং পুলিশের তরফে অমর ঝর্ণা যাবার রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। তারপরেও প্রচন্ড গরম থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষ ছুটে আসছেন অমর ঝর্ণায়। সালানপুর থানার কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির অন্তর্গত মাইথন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ তৈরির পর এক প্রকার ওয়েস্ট জল বের হয়ে বরাকর নদীতে পড়ে। জলের টান প্রচুর। কিন্তু সেই জায়গার নাম সাধারণ মানুষের দেওয়া ‘অমর ঝর্ণা’।

প্রতি বছর এই জায়গায় মানুষের প্রাণ যায়। আগের বছর আসানসোল থেকে ঘুরতে এসে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মানুষ এই ডেঞ্জার জোনকে নিজেদের মজার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর কিছু ফটোগ্রাফার ও ব্লগার এসে ভিডিও করে সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করে চলেছে এখানে আসার জন্য। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এটা একটা ডেঞ্জার জোন। এখানে স্নান করতে গিয়ে অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ও কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশের উচিত ওই জায়গায় কাউকে যেতে না দেওয়া। কিন্তু তারাও কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাদের উদ্যোগ চোখে পড়ে কিছু দুর্ঘটনা ঘটার পর।

সেজন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হলে সম্পূর্ণভাবে এই রাস্তা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে লেফ্ট ব্যাংক অঞ্চলের মানুষ।স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, তাঁরা বারণ করলেও তাঁদের কথায় কেউ কান দেয় না। তবে পুলিশ যদি উদ্যোগ নেয়, হয়তো আর মানুষের প্রাণ যাবে না।