• facebook
  • twitter
Monday, 2 December, 2024

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জামিন মিলবে হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

মামলাগুলির শুনানি ভিন রাজ্যে হোক, এই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই

শুক্রবার বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার এই সব মামলাগুলিতে জামিন দিতে পারবে নিম্ন আদালত ও কলকাতা হাইকোর্ট। তাতে আর কোনও বাধা রইল না। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘ভোট হিংসা মামলার জামিন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে হাইকোর্ট এবং যে কোনও নিম্ন আদালত’।  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফে বাংলায় চলা মামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তরের জন্যও আবেদন করা হয়। তা নিয়ে সব পক্ষের মতামত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি ২২ সেপ্টেম্বর রয়েছে বলে জানা গেছে ।

গত ২০২১ সালে এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে একাধিক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা বিচারাধীন। যেসব মামলার বিচার চলছে সুপ্রিম কোর্টে , সেসব ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন চাইতে গেলে বলা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন হওয়ায় জামিনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বনাম সিবিআইয়ের একটি মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে ।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, ‘আইন মেনে অভিযুক্তদের জামিন মিলবে হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালত থেকে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক মামলার বিচারে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখে। মামলাগুলির শুনানি ভিন রাজ্যে হোক, এই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি , -‘পশ্চিমবঙ্গে এই মামলায় যুক্ত তদন্তকারী অফিসার, সাক্ষীদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তার নেপথ্যে রয়েছেন ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক নেতারা। তাই বাংলার বাইরে মামলাগুলির শুনানি হোক’। এই আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে দুই বিচারপতি সবপক্ষের মতামত চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।