কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর

Written by SNS April 28, 2024 1:45 pm

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃতু্যর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি– ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃতু্যর অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার ছেলে সোমরাজ সরকারের বিরুদ্ধে৷ গত ২৪ শে এপ্রিল সোমরাজের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া থানায় এফআইআর রুজু করেছেন মৃত বধূর স্বামী তন্ময় দে৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে, উঠেছে নিন্দার ঝড়৷ তবে কে এই সোমরাজ সরকার? কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের ছেলে এই সোমরাজ সরকার৷ ভোটের মুখে এ ঘটনাকে ঘিরে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছেন সুভাষ সরকার তথা গোটা বঙ্গীয় গেরুয়া শিবির৷

মৃত বধূর স্বামী তন্ময়ের অভিযোগ, “পেশায় চিকিৎসক হওয়ার দৌলতে বাঁকুড়া শহরে মন্ত্রী সুভাষ সরকারের হার্দিক মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি নার্সিংহোম রয়েছে৷ কোনও বৈধ অনুমতি ছাড়াই সোমরাজ সেখানে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন৷” পাশাপাশি তন্ময় বলেছেন, “সোমরাজের ভুল চিকিৎসার কারণেই তাঁর স্ত্রীর মৃতু্য হয়েছে৷” সোমরাজের বিরুদ্ধে দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তন্ময়৷ স্ত্রীর মৃতু্যর পর মৃতের পরিজনেরা সুভাষ সরকারের হাসপাতালের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত দেখা মেলেনি মন্ত্রীর, কিংবা তাঁর ছেলের৷ শেষমেষ বাধ্য হয়েই বাঁকুড়া থানায় এফআইআর রুজু করেছেন তন্ময়৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মৃতের নাম মৌসুমী দে৷ তিনি বাঁকুড়ার লালবাজার কামারপাড়ার বাসিন্দা, এবং তার বয়স ২৬৷ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই মৌসুমী সোমরাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন৷ এ প্রসঙ্গে তন্ময় জানিয়েছেন, সোমরাজের কথা মতো গত ২১ মার্চ মৌসুমীকে সুভাষবাবুর নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়৷ সেদিন রাতেই সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তন্ময়ের স্ত্রী৷ তারপর তাকে বেডে দেওয়া হলেও ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে মৌসুমীর৷ বারংবার পরিবার কর্তৃক বলা হলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সোমরাজের তরফ থেকে৷ পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয় মৌসুমীকে৷ ২৫ মার্চ সেখানেই সে মারা যান৷ তারপরই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে৷ সোমরাজের ভুল চিকিৎসা এবং গাফিলতিই মৌসুমীর মৃতু্যর কারণ, দাবি করছেন স্বামী তন্ময়৷ দ্রুত সোমরাজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক, বর্তমানে এই একটাই দাবি তন্ময়ের৷