বহরমপুর শহরে অধীরের পায়ে হেঁটে ভোটপ্রচার

Written by SNS April 11, 2024 12:19 pm

বস্তি এলাকায় সরকারিভাবে জল না পাওয়ার অভিযোগ মানুষের

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর, ১০ এপ্রিল— বুধবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী পায়ে হেঁটে ভোট প্রচারে বের হন৷ এদিন তিনি বহরমপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চুরাশি পাড়ার কেদার মাহাতো লেন সহ একাধিক এলাকায় জনসংযোগ করেন৷ সঙ্গে ছিলেন বহরমপুর টাউন কংগ্রেস সভাপতি অরিন্দম দাস, ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যথাক্রমে হীরু হালদার, কানাই রায়, কণিকা কুণ্ডু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী প্রমুখ৷ কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সিপিএমের কর্মীরাও এদিন দলীয় পতাকা নিয়ে অধীরবাবুর সঙ্গে পদযাত্রায় সামিল হন৷

অধীরবাবু কেদার মাহাতো লেনে ঢুকতেই মহিলারা অভিযোগ করেন, বহরমপুর পুরসভা থেকে তাদের এলাকায় জলের ব্যবস্থা করে দেয়নি৷ এলাকায় পর্যাপ্ত আলো নেই৷ রাস্তা ভেঙে গেলেও দীর্ঘদিন সারাই করা হয় না৷ মহিলাদের কাছে অভিযোগ শুনেই অধীরবাবু সঙ্গে সঙ্গে এলাকার কাউন্সিলর হারু হালদারকে বিষয়টির সত্যতা জানতে চান৷ কাউন্সিলর জানান, বহরমপুর পুরসভার ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যেহেতু কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, তাই প্রতিহিংসামূলকভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় পুরসভা থেকে কোনও কাজ করতে চাইছে না৷ সরকারি ভাবে বিনামূল্যে জলের লাইসেন্স দেওয়া হলেও, এই তিনটি ওয়ার্ডে সেটিও দেওয়া হচ্ছে না৷ লিখিতভাবে জানানোর পরেও কেদার মাহাতো লেনে জলের ব্যবস্থা পুরসভা থেকে করে দেয়নি বলে তিনি অধীরবাবুকে জানান৷ সব শুনে অধীরবাবু মানুষকে আশ্বাস দেন, যে করেই হোক তিনি এই এলাকার মানুষের জন্য জলের ব্যবস্থা করবেন৷

প্রসঙ্গত, বহরমপুর পুরসভা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে৷ পদযাত্রা চলাকালীনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অধীর চৌধুরী৷ মহিলাদের জলকষ্টের অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে, অধীরবাবু বলেন, ‘আমি যে এলাকা দিয়ে এলাম সেটি অতি সাধারণ মানুষের এলাকা৷ সেটি একটি বস্তি এলাকা৷ কোন পাপ তারা করেছেন জানি না, এই গরমে প্রখর রোদের তাপে যখন আমরা সবাই ঝলসে যাচ্ছি, তখন সেখানকার মা-বোনেরা বলছে, আমরা জল পাই না৷ এটা কোন ধরনের নৃশংসতা আমার অবাক লাগছে৷ আমি তাদেরকে বলেছি, আমি কর্তৃপক্ষকে বলবো৷ কারণ জল দেওয়ার ব্যবস্থা করাটা এটা কোনও দয়া দাক্ষিণ্য নয়৷ এটা মানুষের অধিকার৷ প্রাণ ধারণের মৌলিক উপাদান হচ্ছে জল৷ সেই জল যদি মানুষ না পায়, আর প্রশাসন যদি এখানে চুপ করে থাকে, আমি আজ বা কাল হাইকোর্টে যেতে বাধ্য হবো৷ প্রশাসনকে বলবো, আন্দোলন করছি, কোর্টেও যাব৷ এই এলাকার মানুষের পানীয় জল পাওয়ার মৌলিক অধিকারকে আমরা সুরক্ষিত করবোই৷’