• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

হিরণের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো বলে কমিশনে দাবি আপের, পাল্টা আদালতে যাওয়ার হুমকি ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর

কলকাতা, ২৩ মে:  ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ও টলিউড অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলল আম আদমি পার্টি। আপ দলের সদস্যরা দাবি করেছে, তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো। এবিষয়ে খড়্গপুর আইআইটি-র দেওয়া তথ্যকে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেছে আপ। তথ্য জানার অধিকার আইনে খড়্গপুর আইআইটি থেকে আপ এই তথ্য পেয়েছে বলে

কলকাতা, ২৩ মে:  ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ও টলিউড অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলল আম আদমি পার্টি। আপ দলের সদস্যরা দাবি করেছে, তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো। এবিষয়ে খড়্গপুর আইআইটি-র দেওয়া তথ্যকে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেছে আপ। তথ্য জানার অধিকার আইনে খড়্গপুর আইআইটি থেকে আপ এই তথ্য পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অতএব ঘাটালের প্রার্থী হিসেবে হলফনামায় ডক্টরেট বলে যে দাবি করেছেন তা ভুয়ো। এজন্য আপের তরফে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে হিরণের প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে।

যদিও এই বিষয়টি নিয়ে পাল্টা আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক ও অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আপ-এর দেওয়া তথ্য নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর শংসাপত্রও পেয়ে গিয়েছেন। এখন তিনি একজন অধ্যাপকের কাছে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি করছেন বলে জানিয়েছেন। তাহলে খড়্গপুর আইআইটি কিভাবে এই ধরণের ভিত্তিহীন তথ্য দিল? নিশ্চয় এর পিছনে শাসকদল তৃণমূলের কোনও হাত রয়েছে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচন মিটলেই তিনি খড়্গপুর আইআইটির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। তিনি বলেন, এর পিছনে শুধু আপ নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শাসকদল তৃণমূলও যুক্ত রয়েছে। না হলে কিভাবে আরটিআই এরকম ভুল তথ্য দিল?

হিরণ অভিযোগ করেন, রাজনীতি যাঁরা করে, তাঁদের অনেকেরই পিএইচডি বা পোস্ট পিএইচডি সম্পর্কে কোনও জ্ঞানগম্মি নেই যে, পিএইচডি না থাকলে পোস্ট পিএইচডি করা যায় না। সাধারণত নিয়ম হচ্ছে, পিএইচডি ডিগ্রি করার পর পোস্ট পিএইচডি ডিগ্রি করার জন্য একজন অধ্যাপকের অধীনে থেকে কোনও বেসরকারি সংস্থার হয়ে গবেষণা করতে হয়। এজন্য ওই গবেষণা করার সময় যা খরচ হয়, তা ওই সংস্থা বহন করে। সেইভাবে তিনিও বেসরকারি এক সংস্থার হয়ে খড়্গপুর আইআইটির এক অধ্যাপকের কাছে গবেষণা করছেন। আমার ডিগ্রি নিয়ে কারও সংশয় থাকলে কোর্টে চলে যান। সৎ সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। বাকিটা আইন আইনের পথে চলবে।

প্রসঙ্গত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পোস্ট পিএইচডি করার সময় কোনও সংস্থার হয়ে গবেষণা করতে হয়। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে, সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার জন্য যোগাযোগ করে কোনও বেসরকারি সংস্থা। এরপর ওই বিশ্ববিদ্যালয় সংস্থাটির হয়ে কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে গবেষণা চালানোর অনুমতি দেয়। আবেদন গৃহীত হলে বিশ্ববিদ্যালয় ওই গবেষণার জন্য কোনও গবেষককে বেছে নেয়। শর্ত অনুযায়ী, গবেষণার সম্পূর্ণ খরচ ওই সংস্থা বহন করে।