• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিধাননগরে বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

‘বাড়তি’ হোডিং কার অনুমতিতে? নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নির্দিষ্ট পরিমাণের বাইরে ‘বাড়তি’ হোর্ডিং কার অনুমতিতে লাগানো হচ্ছে? কারা লাগাচ্ছে? সেই বিপুল টাকা কোথায় যাচ্ছে? বিধাননগরে বেআইনি হোডিং নিয়ে এবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, পুরসভার কাছে আরটিআই-এর মাধ্যমে তথ্য চেয়েও মেলেনি। রাজ্য ও জাতীয় তথ্য কমিশনে আবেদনেও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই মামলা

‘বাড়তি’ হোডিং কার অনুমতিতে?

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নির্দিষ্ট পরিমাণের বাইরে ‘বাড়তি’ হোর্ডিং কার অনুমতিতে লাগানো হচ্ছে? কারা লাগাচ্ছে? সেই বিপুল টাকা কোথায় যাচ্ছে? বিধাননগরে বেআইনি হোডিং নিয়ে এবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, পুরসভার কাছে আরটিআই-এর মাধ্যমে তথ্য চেয়েও মেলেনি। রাজ্য ও জাতীয় তথ্য কমিশনে আবেদনেও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

মামলাকারীর দাবি, পুরনিগমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারিভাবে ১৩০টি হোর্ডিং থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে এমন হোর্ডিংয়ের সংখ্যা অন্তত ৭৫০টির মতো রয়েছে। এমনকী, সরকারি নথি বলছে, বছরে ২০ লাখও আয় নেই। অথচ বিধাননগরে বেআইনি হোর্ডিং-এর বাজারমূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা! মামলার বয়ান অনুযায়ী, এই বিপুল পরিমাণ ‘বাড়তি’ হোর্ডিং কার অনুমতিতে, কারা লাগিয়েছে, পাশাপাশি কাকেই বা টাকা দেওয়া হয়েছে, এই মামলায় এর বিস্তারিত তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

সেক্ষেত্রে বেআইনি বিষয়ে পদক্ষেপ এবং সেই সূত্রে টাকার লেনদেনের তদন্ত চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যথেচ্ছ হারে বেআইনি হোর্ডিং লাগিয়ে শহরে দৃশ্যদূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই বেআইনি হোর্ডিংয়ের দায় প্রশাসনের না থাকায়, মুম্বইয়ের মতো হোর্ডিংয়ের কাঠামো ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটলে কী হবে? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী দিবায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ের নথিতে দেখা যাচ্ছে, হোর্ডিং বাবদ পুরনিগমের আয় ২০ লক্ষ টাকার মতো। অথচ বাস্তবে অন্তত ৭৫০ বড় বড় হোর্ডিং শহরজুড়ে রয়েছে। যার বাজারমূল্য অন্তত ৩০ কোটি টাকা। এখন পুরনিগম বলছে, নতুন করে টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। এর আগে এই নিয়ে পুরসভার কাছে আরটিআই করে তথ্য চেয়ে মেলেনি। রাজ্য ও জাতীয় তথ্য কমিশনে আবেদনেও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই মামলা।’

উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরনিগম মানছে যে, হোর্ডিং সমস্যার শেকড় অনেক গভীরে ছড়িয়ে রয়েছে। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভাকে যুক্ত করে বিধাননগর পুরনিগম তৈরির পর এই সমস্যা আরও বেড়েছে বলে দাবি পুরকর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিদিন বেআইনি হোর্ডিং চিহ্নিত করে ভাঙা হচ্ছে।

কিন্তু ফের নতুন করে লাগানো হচ্ছে! পুরকর্তারা আরও জানাচ্ছেন, লোহার কাঠামো সমেত এক-একটি হোর্ডিং ভাঙতে, প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয় পুরসভার। প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুর-এলাকার ভিআইপি রোডের গোলাঘাটা থেকে কৈখালী পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার দু’ধারে দেদার হোর্ডিং রয়েছে। ওদিকে করুণাময়ী, সিটি সেন্টার থেকে শুরু করে লেক টাউন, সর্বত্র ঢাউস হোর্ডিংয়ে মুখ ঢেকেছে আকাশ।

Advertisement