টিকাকরণে নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের

ভ্যাকসিনের প্রিকশনারি ডোজ নিতে গেলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখানোর দরকার পড়বে না। প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা ও প্রবীণদের জন্যই এই প্রিকশনারি ডোজ।

Written by SNS Delhi | December 30, 2021 12:44 pm

১০০ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা সম্পূর্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বললেন, বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি হয়েছে ভারতেই।

দেশের মোট জনসংখ্যায় প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তত ৯০ শতাংশকে ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে, সেকেন্ড ডোজ পেয়েছেন কম করেও ৬০ শতাংশ।

টিকাকরণে গতি আনতে জানুয়ারি থেকে আরও একগুচ্ছ উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব ইমিউনাইজেশনের তথ্য বলছে, এখনও অবধি দেশে ১৪২ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্কদের পরে এবার কমবয়সীদের টিকার ডোজ দেওয়ার বড় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হবে। জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে রেজিস্ট্রেশন।

কোউইন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন ছোটরা। তার জন্য আধার কার্ড না হলেও চলবে। স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দিয়ে ভ্যাকসিনের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে। ছোটদের জন্য কোউইন অ্যাপে আলাদা স্লট রাখা হচ্ছে। সেখানেই স্কুলের পরিচয়পত্র নিয়ে নাম রেজিস্টার করতে পারবে ছোটরা।

আপাতত দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ছোটদের-ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও জাইদাস ক্যাডিলার জাইকভ-ডি আগামী বছর থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের নোভ্যাভাক্স ভ্যাকসিনও ছোটদের জন্য চলে আসতে পারে। ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের জন্য টিকার তৃতীয় ডোজ তথা বুস্টার দেওয়া শুরু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে।

বুস্টার ডোজকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন ‘প্রিকশনারি ডোজ’। কোভিড ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা ছাড়া ষাট বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও দেওয়া হবে ভ্যাকসিনের প্রিকশনারি ডোজ।

ভ্যাকসিনের প্রিকশনারি ডোজ নিতে গেলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখানোর দরকার পড়বে না। প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা ও প্রবীণদের জন্যই এই প্রিকশনারি ডোজ।

করোনা রোগীদের সংস্পর্শে থাকতে হয় যাঁদের বা পেশাগত কারণে জনবহুল জায়গায় থাকতে হয়, প্রবীণ যাঁদের কোমবিডিটি আছে ও হাই রিস্ক গ্রুপে আছেন, শুরুতে তাঁরাই পাবেন এই ডোজ।

বয়স্কদের কোমবিডিটি থাকলে হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের রোগ, ক্যানসারের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখানোর দরকার নেই। তবে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার ৩৯ সপ্তাহ পরে তৃতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।