মুকুট গড়া
তনুজা চক্রবর্তী
দু-চোখ বোজা ঘুমের ঘোরে মিষ্টি করে বলো
পাখির পালক কুড়োতে যাব সবাই মিলে চলো।
গড়ব মুকুট পালক দিয়ে
কোঁচড় ভরে কুড়িয়ে নিয়ে
দেখব তখন আধো ঘুমে দু-চোখ টলোমলো।
Advertisement
স্বপ্নটাকে হারিয়ে ফেলে দুঃখ কেন পাও?
আবার ফিরে আসবে রাতে এখন ছুটি দাও।
সাঁঝের পাখি ফিরলে নীড়ে
ঝরালো কোন নদীর তীরে
কোথায় গেলে মিলবে দেখা ঠিকানা জেনে নাও।
Advertisement
নতুন করে স্বপ্ন ডিঙি ভাসবে ঘুমের দেশে
মুকুট গড়ে ফিরবে ঘরে রাজা-রানির বেশে।
সেসব নিয়ে কাহিনি গড়ে
নতুন ভোরে শুনিও পড়ে
সুপ্রভাত বলবে সবাই ফুলের মত হেসে।
রুটিন
দীপ্র দাস চৌধুরী
সন্ধে হলে রুটিন চলে
পড়ার টেবিল জুড়ে,
কিন্তু, এমন সময় কেন
মন ভেসে যায় উড়ে?
হরেক রকম প্রশ্ন কেন
পড়ার সময় আসে?
অঙ্ক দেখে মনের জাহাজ
কল্পনাতে ভাসে।
মা বকে দেন দেখলে পরে
পড়ার সময় ফাঁকি।
কিন্তু বাপু স্বপ্ন এলে
কেমন করে থাকি!
কল্পনাতে আমিই রাজা
সবার সুপারহিরো,
কিন্তু, শুনে বাবার ধমক
বাস্তবে হই জিরো।
সন্ধে হলে পড়তে হবে
এটাই নিয়ম কেন?
কল্পনারও রুটিন থাকুক
ভাসতে পারি যেন।
গড়তে হবে উন্নত সমাজ
সুব্রত ভট্টাচার্য্য
পড়বো আমি ইতিহাস
ভূগোল আর বিজ্ঞান,
রাখবো খোলা চোখদুটি
আর রাখবো খোলা কান।
ইংরেজি আর বাংলা ভাষা
খুশি মনে অঙ্ককষা,
থাকবে সবই বুকের মাঝে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে পাশে বসা।
মনের কোণের অন্ধকার
আলোর দিশা পেয়ে,
সাগরতলের অচিন দেশে
পালিয়ে যাবে ভয়ে।
পড়তে হবে লিখতে হবে
জানতে হবে আজ,
গড়তে হবে হাত মিলিয়ে
উন্নত সমাজ।
পাল্টে যায়
অরূপ দাস
ঠাকুরদার
চশমা রানা পরল যেই
হায়রে হায়
পাল্টে যায়
আগের মতো কিচ্ছু নেই।
দেখছে যেটাই
বৃহৎ লাগছে সবকিছু
বাপরে সে কী
বাঘ যে একি
হাঁটতে থাকে রানার পিছু।
ভীষণ ভয়ে
চশমা খুলল যেই না রানা
ফেলল হেসে
নিজেই শেষে
বাঘ নয় তো বিড়ালছানা।
Advertisement



