• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু

কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু। জোড়াবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।

কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু। জোড়াবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম বিট্টু সিংহ (৩৬)। কলকাতায় চলতি মরশুমে এই প্রথম কারও প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গু। এনিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হল ডেঙ্গুতে। কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। এখন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৫ হাজারেরও বেশি।

কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরে অবশ্য ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভিআইপি রোডের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এক মহিলা। গত শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম শিবানী দাস। বিধাননগর পুরনিগমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন শিবানী। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ৩১ অক্টোবর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন শিবানী দাস। কয়েকদিন চিকিৎসা চললেও খুব একটা উন্নতি হয়নি। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গুর উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

উত্তরবঙ্গেও প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গু। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় রাহুল শেখ নামের বছর ৩০-এর এক যুবকের। ইসলামপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামপুরের নেতাজি পার্ক, নসিয়ত পাড়ায় ডেঙ্গি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

ডেঙ্গুর উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম – জ্বর, মাথা ও গায়ে প্রচন্ড ব্যথা, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া। এখন অবশ্য পেটে ব্যথা ও ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে। পেট খারাপ ও মৃদু জ্বরের উপসর্গ দেখলেও ডেঙ্গুর এনএস-১ কিংবা আইজিএম এলাইজা টেস্ট করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। নিজের বাড়ি এবং আশেপাশের অঞ্চল পরিষ্কার রাখলে তবেই ডেঙ্গুকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন তারা।

চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গুর উপসর্গের মধ্যে পেট খারাপ ও মৃদু রক্তক্ষরণ বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। যদিও সেই সমস্ত উপসর্গের রোগী অতীতে সংখ্যায় খুব যে বেশি মিলত, তেমনটা নয়। গত বছর থেকে নতুন বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে। ডেঙ্গু ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে, তা ছাড়াও এর চারটি প্রজাতি রয়েছে৷ তার একটিতে একবার আক্রান্ত হওয়ার পরে, আবার অন্য কোনও প্রজাতিতে সংক্রমিত হলে সে ক্ষেত্রে ঝুঁকিও অনেকটাই বেশি থাকে।