• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বর্ষার আগে খাল পরিদর্শনে নেমেছে পুরসভা ও সেচ দপ্তর

বর্ষার আগেই জল জমার সমস্যা ঠেকাতে কলকাতার খালগুলির হালচাল দেখতে নেমেছে সেচ দপ্তর এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা।

ফাইল চিত্র

বর্ষার আগেই জল জমার সমস্যা ঠেকাতে কলকাতার খালগুলির হালচাল দেখতে নেমেছে সেচ দপ্তর এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা। সম্প্রতি শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ খাল— সুতি খাল, গুনিয়াগাছি খাল, ইন্টারসেপটিং খাল ও টালিগঞ্জ-পঞ্চনগ্রাম খাল ঘুরে দেখেন তারা।

পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, খালগুলির জলে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক ও কঠিন বর্জ্য ভেসে রয়েছে। এতে জল চলাচলের গতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন আধিকারিকরা। ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলির কাছেও পলি জমে থাকায় জল নামা আরও ধীর হয়ে পড়ছে। দ্রুত এই পলি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং জানান, চৌভাগা ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছে পলি সরানোর কাজ কিছুটা হলেও বাকি রয়েছে। তাই সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই এলাকাটি আরও ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য।

Advertisement

ভাসমান বর্জ্য যাতে পাম্পিং স্টেশন পর্যন্ত না পৌঁছয়, তার জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবু প্লাস্টিকের পরিমাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুরসভা। কারণ, এই সব বর্জ্য খালের জলে বাধা সৃষ্টি করে, ফলে দ্রুত জল বের হতে পারে না।

পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত জুনের দশ তারিখ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে। তবে এবারের বৃষ্টির পূর্বাভাসের জন্যই আগেভাগে সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। তারক সিংয়ের দাবি, গত এক দশকে শহরের খালগুলি থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টন পলি সরানো হয়েছে, তবুও বর্ষার আগে আরও সচেতনতা ও দ্রুততা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement