• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

একশো দিনের কর্মী নিয়োগে সরলীকরণের দাবি বাম কাউন্সিলরের, সহমত জানালেন ফিরহাদ

এদিনের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘গোটা পদ্ধতিটা তাড়াতাড়ি করতে হবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে। ব্যাঙ্ক ভেরিফিকেশন হচ্ছে বলে কিছুটা অতিরিক্ত সময় লাগছে। কিন্তু সেটা না করলে টাকা অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আরও সময় কমিয়ে দেবার কথা বলা হয়েছে।’

ফাইল চিত্র

একশো দিনের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের মধ্যে অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন। কেউ আবার কাজ ছেড়েছেন। ফলে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ফাঁকা জায়গা। সেই সব জায়গায় নতুন কর্মী নেওয়া যেতে পারে অনায়াসে। কিন্তু একশো দিনের কাজের জন্য আবেদন জমা দেওয়া হলেও নিয়োগ পদ্ধতি বর্তমানে এতটাই জটিল যে শুধুমাত্র কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধে হচ্ছে তা নয়, যাঁদের নাম দেওয়া হচ্ছে তাঁরাও অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়ছেন এবং কলকাতা পুরসভার প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন।

কলকাতার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে বাম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় একশো দিনের কাজে কর্মী নিয়োগ পদ্ধতিতে আরও সরলীকরণের দাবি করলেন। বাম কাউন্সিলরের দাবির উত্তরে শাসক দলের কাউন্সিলর অসীম বসু বলেন, ‘একশো দিনের কাজের জন্য যথাযথ ভাবেই নিয়োগ হচ্ছে। মিউনিসিপ্যাল কমিশনারের ১৩ নম্বর নির্দেশিকা ২০২৩-২৪ অনুযায়ী, ফাঁকা পদে নতুন কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক্সিকিউটিভে ইঞ্জিনিয়ার বা এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে কর্মী নিয়োগের ফাইল তৈরি করেন। পরবর্তীতে বিবেচনার জন্য সেই ফাইল সংশ্লিষ্ট বোরো কমিটিতে পেশ করা হয়। বোরো কমিটিতে ওই কর্মী নিয়োগের প্রস্তাবটি বিবেচিত হলে সেটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কন্ট্রোলিং অফিসার, মিউনিসিপাল কমিশনার এবং বিভাগীয় মেয়র পরিষদের মাধ্যমে মেয়রের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। আবেদন পরচা বর্তমানে অনলাইনে ই-অফিস পোর্টালের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হয়।’

Advertisement

কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এক কথায় মেনে নিয়েছেন যে, এই পদ্ধতির সরলীকরণ প্রয়োজন। এদিনের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘গোটা পদ্ধতিটা তাড়াতাড়ি করতে হবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে। ব্যাঙ্ক ভেরিফিকেশন হচ্ছে বলে কিছুটা অতিরিক্ত সময় লাগছে। কিন্তু সেটা না করলে টাকা অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আরও সময় কমিয়ে দেবার কথা বলা হয়েছে।’

Advertisement

Advertisement