দুর্গাপুজোর সময়ে শহরে চুরি ও ডাকাতির বাড়বাড়ন্ত রুখতে এবার বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। থানার অফিসার ইনচার্জদের ফাঁকা বাড়ি ও ফ্ল্যাটগুলিতে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। শহরের মানুষ যাতে নির্বিঘ্ন দুর্গোৎসব উপভোগ করতে পারেন সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। পাশাপাশি পুজোর সময় এবং তার আগে ও পরে অপরাধীদেরও কড়া নজরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুজোর সময় একটা দীর্ঘ ছুটি পান রাজ্যবাসী। সেই কারণে পুজোর কয়েকটা দিন শহরের বাইরে বেড়াতে চলে যান অনেকে। সেই সময় অনেক বাড়ি ও ফ্ল্যাট ফাঁকা পড়ে থাকে। সেই সুযোগে এই সব বাড়িতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাড়ি ফিরে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন বাড়ির মালিক। প্রতিবছরই শহরে এরকম কয়েকটি ঘটনা সামনে আসে। সেই কারণে এবার আগে থেকে সতর্ক হয়েছে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর। প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জদের (এওসি) সতর্ক করেছে লালবাজার। শুধু পুজো মণ্ডপগুলির উপরেই নয়, এলাকার ফাঁকা বাড়ি ও ফ্ল্যাটের উপরও কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে বাড়তি দায়িত্ব পেয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও। প্রতিটি থানার অ্যান্টি রাউডি অফিসারদের (এআরও) নিজের নিজের এলাকার চিহ্নিত দুষ্কৃতীদের খতিয়ান তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর সময় চিহ্নিত সেই চোর–ডাকাতদের গতিবিধি স্ক্যানারের নিচে থাকবে বলে জানা গিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে সব রকমভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
পুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর ভিড় হয়। মণ্ডপ ছাড়াও অন্যান্য জায়গাতেও ভিড় জমান পর্যটক থেকে শুরু করে রাজ্যবাসী। এই পরিস্থিতিতে ভিড় সামলাতে ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে পুলিশের ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুজোর সময় কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি ছাড়া যেন কোনও পুলিশকর্মী ছুটি না নেন সেই নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। ব্যারাকে সব সময় পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী ও পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী যাতে মজুদ থাকে সেই বিষয়টাও দেখার কথা বলা হয়েছে।
Advertisement
Advertisement



