দেশের মেট্রো শহরগুলির মধ্যে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা। লালবাজারের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই কিংবা হায়দরাবাদের তুলনায় কলকাতায় পথদুর্ঘটনার প্রভাব অনেক কম বলে দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে কলকাতায় মোট ১৮৮টি পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯১ জন। আহত হয়েছেন আরও ১,৭২৪ জন। অন্যদিকে, দিল্লিতে ১,৫০৪টি পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১,৫৫১ জনের, আহত হয়েছেন ৪,১৫৩ জন। বেঙ্গালুরুতে ৮৬৯টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ৮৯৪ জনের, আহত হয়েছেন আরও ৩,৯০০ জন। চেন্নাইয়ে ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় ৫৪৪ জনের মৃত্যু ও ৩,২৩৩ জন আহত হয়েছেন। মুম্বইয়ে ৩৮৪টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭০ জনের, আহত হয়েছেন আরও ২,২৫৬ জন। আর হায়দরাবাদে ২৮৬টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০১ জন, আহত হয়েছেন আরও ৩,৪৯৯ জন।
Advertisement
তবে এই রিপোর্টকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, ‘এই তথ্য বিশ্বাসযোগ্য নয়, পরিসংখ্যানে কারচুপি রয়েছে’। শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসও পাল্টা সুর ছড়িয়েছে। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। তাদের দাবি, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলেই দুর্ঘটনার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।
Advertisement
কলকাতা পুরসভার মেয়রপারিষদ সদস্য ও রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পথ নিরাপত্তা এখন সাধারণ মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ শুধু স্লোগান নয়, বাস্তবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট তার প্রমাণ।’
প্রশাসনের মতে, শহরে ট্র্যাফিক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, নজরদারির উন্নয়ন এবং নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারই দুর্ঘটনার হার কমাতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী রিপোর্টে আলাদা করে মৃত্যু ও আহতদের হিসেব রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে, কলকাতায় পথ নিরাপত্তা নিয়ে এই সাফল্য অন্য মেট্রো শহরগুলির কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
Advertisement



