• facebook
  • twitter
Saturday, 19 July, 2025

বর্ষার আগে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি চিহ্নিতকরণে নামল পুরসভা

পুরসভা জানিয়েছে, এলিয়ট রোড, রিপন স্ট্রিট এবং আশপাশের গলিতে এমন বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে, যেগুলির যেকোনও সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সম্প্রতি বউবাজারে শতাব্দী প্রাচীন একটি পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। সেই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা। বর্ষা আসার আগেই শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে সমীক্ষার কাজ। লক্ষ্য – ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

পুরসভা সূত্রে খবর, একটি আপডেটেড তালিকা তৈরির জন্য বিল্ডিং বিভাগের কাছে ইতিমধ্যেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তালিকা হাতে পেলেই বরো অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারদের সরেজমিনে পরিদর্শনে পাঠানো হবে। তাঁরা দেখে আসবেন কোন বাড়ি কতটা বিপজ্জনক, কাঠামো আদৌ বসবাসযোগ্য কি না, সেইসব দিক।

পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বরো ৪, ৫ ও ৬— এই তিনটি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। এর পাশাপাশি তালিকায় উঠে এসেছে কাশীপুর, দমদম, পাইকপাড়া, চিৎপুর, পাথুরিয়াঘাটা, বউবাজার, এমজি রোড, তালতলা, এসএন ব্যানার্জি রোড এবং লেনিন সরণির মতো এলাকাও। কিছু ভবনকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুরসভা জানিয়েছে, এলিয়ট রোড, রিপন স্ট্রিট এবং আশপাশের গলিতে এমন বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে, যেগুলির যেকোনও সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেইসব বাড়ির বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সরতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পুরসভা বিপজ্জনক ভবনের অংশ ভেঙে ফেলার অভিযান শুরু করলেও গার্ডেনরিচ দুর্ঘটনার পর মূল নজর গিয়েছিল বেআইনি নির্মাণের দিকে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলিকে নিয়ে ততটা অগ্রগতি হয়নি। এবার পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে, আর দেরি নয়। বর্ষার আগেই প্রতিটি বিপজ্জনক বাড়ির রিপোর্ট হাতে এনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পুলিশের পক্ষ থেকেও মধ্য কলকাতার বেশ কিছু অনিরাপদ ভবনের তালিকা পুরসভায় পাঠানো হয়েছে। শুধু গত বছরেই ৫৭টি ভবনের মালিককে সতর্ক করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বউবাজারের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর এবার শহরের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে এগোতে চাইছে প্রশাসন। শহরবাসী যেন নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন, সেই চেষ্টাতেই জোর কলকাতা পুরসভার।