নিউ গড়িয়ায় ভয়াবহ খুনের ঘটনার পর শহরজুড়ে সতর্ক কলকাতা পুলিশ। আয়া, পরিচারক, গাড়ির চালক এবং ভাড়াটেদের তথ্য যাচাইয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে লালবাজার। শিগগিরই প্রতিটি থানায় বিশেষ ফর্ম পাঠানো হবে। ওই ফর্মের মাধ্যমে বাড়িতে কর্মরত আয়া-পরিচারক থেকে শুরু করে ভাড়াটেদের যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা হবে।
সম্প্রতি নিউ গড়িয়ায় বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে ধৃত আয়া আশালতা সর্দার এবং তাঁর সঙ্গী মহম্মদ জালাল মীরকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, সদ্যনিযুক্ত ওই আয়া বাড়িতে প্রবেশের পরেই বৃদ্ধ দম্পতিকে আক্রমণ করে নগদ টাকা ও গয়না লুট করেছিলেন। বৃদ্ধাকে খুন করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়। ঘটনাস্থলের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন জালাল। তাঁদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে লুট হওয়া গয়না।
Advertisement
ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সাধারণ মানুষ কীভাবে আয়া, পরিচারক ও ভাড়াটেদের তথ্য পুলিশের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন এবং আমরা কীভাবে দ্রুত যাচাই করতে পারি, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে।’
Advertisement
এমনিতে থানায় পরিচারকদের তথ্য জমা দেওয়ার নিয়ম আগে থেকেই থাকলেও, নিউ গড়িয়ার ঘটনার পর আয়াদের তথ্য সংগ্রহেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। শহরের বহু অসুস্থ ও প্রবীণ নাগরিকের দেখাশোনার জন্য আয়া নিয়োগ করা হয়। কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ‘প্রণাম’ নামে একটি প্রকল্পও চালু রয়েছে। সেখানকার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রবীণ নাগরিক একা থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশের এই নজরদারি ।
লালবাজারের নতুন ফর্মে আয়া-পরিচারক ও গাড়ির চালকদের পাশাপাশি বাড়ির ভাড়াটেদের তথ্যও বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, সেই প্রক্রিয়া এখনও নির্ধারিত হয়নি। পুলিশের মতে, বিশেষত যাঁরা বাড়িতে একা থাকেন, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
Advertisement



