উল্টোডাঙা থানার অদূরে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে নগদ সহ কোটি টাকার গয়না লুটের অভিযোগ উঠল। ঘর থেকে উধাও নগদ ও গয়না মিলিয়ে প্রায় ১.২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি। পরিবারের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই ডাকাতির পরিকল্পনা করে এসেছিল। ঘরে ঢোকার আগে কোনও ঘুমের ওষুধ স্প্রে করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজারে একটি বিশেষ টিম। ইতিমধ্যেই বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে ঘুম ভাঙতেই বৃদ্ধ দম্পত্তি দেখেন, ঘরের একাধিক আলমারি খোলা, সবকিছু তছনছ করা। জানলার গ্রিল ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। পরিবারের দাবি, লুট হওয়া জিনিসের মূল্য অন্তত ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে সোনা ও হিরের গয়না ছিল। দুষ্কৃতীরা জানলার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে আলমারিতে থাকা সমস্ত গয়না ও জিনিসপত্র বের করে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যায়। তারপর সেগুলি থেকে বেছে বেছে লুট করে।
বিধাননগর রোড স্টেশন লাগোয়া মেন রোডের ধারে থাকা ওই বাড়ি থেকে উল্টোডাঙা থানার দূরত্ব ৫০০ মিটারেরও কম। বাড়ির মালিকের ছেলে বলেন, ‘বাবা হার্টের রোগী, মা ডায়াবেটিক। দু’জনেরই ঘুম হয় না। অথচ সেদিন গোটা রাত দু’জনেই ঘুমিয়ে ছিলেন! সকালে উঠে দেখলাম সব খোলা, জানলার গ্রিল ভাঙা। আমাদের ঘর পুরো খালি করে দিয়েছে। নগদ, গয়না- কিছুই ছাড়েনি।’
পরিবারের দাবি, চুরি যাওয়া জিনিসের মধ্যে রয়েছে বহু পুরনো সোনার গয়না, দামি হিরের সেট, নগদ টাকা সহ আরও অনেক কিছু। চুরির ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। ওই বাড়িটি বড় রাস্তার ধারে। সেখানে জানলা কেটে বাড়িতে কয়েকজন ঢুকল কী করে? বড় রাস্তার উপরে কি ছিল না পুলিশি টহল? দীর্ঘ সময় ধরে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালালোই বা কী করে? ফ্ল্যাটের লোকজন থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।