দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকা থেকে এক ৬৮ বছর বয়সি বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের নাম দিলীপ সাহা। তিনি স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে রিজেন্ট পার্কের একটি ছোট বাড়িতে থাকতেন। ১৯৭২ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে কলকাতায় আসেন তিনি। থাকতেন রিজেন্ট পার্ক এলাকার আনন্দপল্লি পশ্চিমে। ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি স্কুলের অশিক্ষক কর্মী ছিলেন তিনি।
দিলীপ বাবুর স্ত্রীর দাবি, অসম এবং দেশজুড়ে এনআরসি- এর সম্ভাব্য প্রয়োগ নিয়ে লাগাতার খবর দেখে তিনি গভীর মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন। পরিবার সূত্রে দাবি, ‘গত কয়েক দিন ধরে তিনি ঠিক করে খাচ্ছিলেন না আর ঘুমাচ্ছিলেন না। যখনই আমরা কথা বলতে যেতাম, তিনি বলতেন, ‘আমাদের কি এখানে থাকার অধিকার আছে? যদি এনআরসি হয়, তাহলে আমাদের কী হবে?’ আমরা তাঁকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে আমাদের সব কাগজপত্র ঠিক আছে, কিন্তু তিনি কিছুতেই শান্ত হচ্ছিলেন না।’
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে স্ত্রী একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও সাড়া পাননি দিলীপবাবুর। এরপর পাশের বাড়ি থেকে ভাগ্নেবউ পিঙ্কি সাহাকে ডাকেন তিনি। তিনি এসে দরজা ভাঙার পরামর্শ দেন। এরপরই ঘর থেকে উদ্ধার হয় দিলীপ বাবুর ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনা রিজেন্ট পার্ক এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
Advertisement
রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। বাংলার মানুষকে ভাতে মারার, প্রাণে মারার, জল ছেড়ে মারার ছক কষেছে তাঁরা।’
Advertisement



