কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালুর পর এবার ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটরিং সিস্টেম। রোগীদের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হল ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটরিং সিস্টেম। এর আগে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হয়েছিল এই ব্যবস্থা। রোগী হয়রানি ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর বিষয়টি ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা চালুর পথে হাঁটল রাজ্য সরকার।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, সূত্রের খবর এমনটাই। রেফার রোগে বছরের পর বছর জর্জরিত রাজ্যের হাসপাতালগুলি। ইতিমধ্যে এ নিয়ে একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও অনেক হাসপাতাল রোগীদের রেফার করেই দায় সেরেছে। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বঙ্গে।
Advertisement
এই রেফার নিয়েও সরব হয় জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল – রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা এবং ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটরিং সিস্টেম চালু করা। সেই দাবি মতো কলকাতার ৫টি মেডিক্যাল কলেজে চালু করা হয় কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা।
Advertisement
কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থার আওতায় থাকলে সহজে জানা যাবে কোন হাসপাতালে কতগুলি বেড খালি রয়েছে। ফলে দুই হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে রেফার করা হবে রোগীকে। ১৫ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু হয় কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা। এরপর গত ১ নভেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয় এসএসকেএম সহ কলকাতার ৫টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই বাকি ২৩টি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু হবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে নোডাল সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই ব্যবস্থা চালু হলে আউটডোরে বসেই অনলাইন রেফারেল সিস্টেমের মাধ্যমে চিকিৎসক বুঝতে পারবেন যে তাঁর বিভাগে কতগুলি বেড ফাঁকা আছে। পাশাপাশি জেলা বা ব্লক হাসপাতালে বসে সেখানকার চিকিৎসকরা এই সিস্টেমের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে কোন মেডিক্যাল কলেজে কতগুলি বেড ফাঁকা রয়েছে। এর ফলে রোগী ও তাঁর পরিজনের হয়রানির সম্ভাবনা অনেকটাই কম হবে। পাশাপাশি সুবিধা হবে ডাক্তার ও পিজিটিদের।
Advertisement



