নিজস্ব প্রতিনিধি–– কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় উঠেছিল জমি নিয়ে বিবাদের অভিযোগ। এবার এই ঘটনায় নাম জড়াল বিহারের কুখ্যাত গ্যাংস্টার পাপ্পুর। হামলার ঘটনায় মূলচক্রী গুলজারকে জেরা করে পাপ্পুর নাম পেয়েছে তদন্তকারীরা। কলকাতা পুলিশ এবার পাপ্পুর ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। যোগাযোগ করা হয়েছে বিহার পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, সুপারি কিলারের জন্য পাপ্পুকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিল সুশান্ত হামলার মূলচক্রী। গুলজার বিহারে একাধিক অপরাধের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ। এক্ষেত্রে পুলিশের প্রশ্ন, তাহলে কি পাপ্পু গ্যাংস্টারের হাত ধরেই বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমানা টপকে এই রাজ্যে ঢুকত বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র? এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে পাপ্পুর ব্যাপারে আরও বেশি খবর পেতে চাইছে পুলিশ। বিহার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক পর্যায়ে কলকাতা পুলিশ জানতে পেরেছে, পাপ্পু গ্যাংস্টার মূলত অস্ত্র ব্যবসায়ী। সে আগে একটি কুখ্যাত দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে চুরি, ডাকাতি ও অপহরণের মতো দুষ্কর্ম করত। পরে সেই নিজের দল বানিয়ে নেই।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর তারিখে বাড়ির সামনে বসে থাকার সময় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পিস্তলের ট্রিগার জ্যাম হয়ে যাওয়ায় গুলি বের হয়নি। তাই বরাত জোরে রক্ষা পান কাউন্সিলর। সেই সময় কাউন্সিলরের অনুগামীরা শ্যুটারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে ধরা পড়ে হামলার ঘটনার মূলচক্রী গুলজার। এরপর সামনে আসে জমি নিয়ে বিবাদের বিষয়টি। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের (সুশান্ত ঘোষ এই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর) গুলশন কলোনিতে তাঁর বিরুদ্ধে ২ হাজার বর্গফুটের একটি গুদামঘর জবরদখলের অভিযোগ করেছেন ধৃত গুলজার। এই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। এই নিয়ে গত পাঁচ মাসে ৩ বার সুশান্ত ঘোষকে খুনের চক্রান্ত করা হল।
Advertisement
যাকে শ্যুটার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল সেই কিশোরের পূর্বে কোনও অপরাধের ইতিহাস নেই বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত কিশোরের অপরাধে হাতেখড়ি না হলেও বাকিরা ছিল পেশাগত অপরাধী। যদিও জেরার মুখে ইকবাল তথা গুলজার বারংবার পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে বলেই দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। তাঁদের মতে জেরার মুখে এক-এক বার
এক-এক কথা বলছে ইকবাল। কখনও বলছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি দেওয়া হয়েছিল আবার কখনও বলছে সুপারি দেওয়া হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। তবে মাত্র ২ হাজার বর্গফুটের জন্য কেন ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হবে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ।
Advertisement



