বিছানার উপরে পড়ে স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ। পাশে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন স্বামী। শনিবার সকালে এই হাড়হিম করা ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল সোনারপুরের মথুরাপুর অঞ্চলে। তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোনারপুরের কুলপি থানা এলাকার বাসিন্দা হলেও মাসখানেক ধরে মথুরাপুরের ভাড়া বাড়িতে আড়াই বছরের শিশুকে নিয়ে থাকছিলেন শশধর এবং পায়েল। পারিবারিক অশান্তির কারণে নিজের পৈতৃক ভিটে ছেড়ে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন শশধর। কিন্তু তার পরেও প্রায় দিনই নিজেদের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। এ দিন সকাল থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলেন স্থানীয়েরা।
Advertisement
ক্রমাগত কাঁদার আওয়াজে একাধিকবার ডাকাডাকিও করেন তাঁরা। কিন্তু দরজা না খোলায় সন্দেহ দানা বাঁধে। দরজা ভাঙতেই আঁতকে ওঠেন স্থানীয়েরা। দেখেন, বিছানার উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে স্ত্রী পায়েল। স্বামী শশধর ঝুলছেন সিলিং ফ্যান থেকে। অন্যদিকে শিশুটি কেঁদেই চলছে। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
Advertisement
তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পেশায় হকার শশধর প্রথমে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের দাগও মিলছে। তারপরে নিজেই আত্মঘাতী হন শশধর। এ বিষয়ে ডিএসপি (অপরাধ) ফয়জল বিন আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
Advertisement



