মার্চের শেষের দিকে হাওড়ার বেলগাছিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জালের চাপে ঘটে যায় একপ্রকার ভূমিধস। বিপর্যয়ের চোটে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পানীয় জল ও নিকাশির ব্যবস্থা। এর জেরে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় জল সরবরাহ। জনজীবন পড়ে যায় চরম দুর্দশায়। ঘটনাটি সামনে আসতেই তৎপর হয় হাওড়া পুরসভা ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে বেলগাছিয়ার চাপ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সোমবার জানিয়েছেন, ‘বেলগাছিয়া ধাপায় এখন জায়গার অভাব। আমরা ইতিমধ্যেই বিকল্প জায়গা খুঁজছি। আশা করছি, শীঘ্রই সেটাও ঠিক হয়ে যাবে। নিকাশির যে সমস্যার কারণে ধস ঘটেছিল, কেএমডিএ সেটি মিটিয়ে দিয়েছে। এখন ঠিকঠাক মতো জল বেরোচ্ছে।’
তবে সাময়িক সমাধানে থেমে থাকছে না সরকার। স্থায়ী সমাধানের দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। মেয়র জানান, ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড এখন পুরোনো ধারণা। আমরা প্রসেসিং প্ল্যান্ট তৈরির পথে হাঁটছি। জায়গাও ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুনভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হবে প্রযুক্তি নির্ভর। শুকনো বর্জ্য যাবে পাওয়ার প্লান্টে, যেখানে তা থেকে চারকোল তৈরি হবে। আর ভেজা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি হবে জৈব সার ও বায়ো গ্যাস।’ এই উদ্যোগ সফল হলে শুধু বেলগাছিয়ার জঞ্জাল নয়, গোটা শহরের বর্জ্য সমস্যারই মিলবে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান- এমনটাই মনে করছে প্রশাসন।