বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোকামায় খুনের ঘটনায় ক্রমশ রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ যেমন চড়ছে, তেমনি মানুষের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ভোটযজ্ঞ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের আশ্বাস দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘সহিংসতার প্রতি কমিশনের অবস্থান জিরো টলারেন্স’। কোনও ভাবেই দুষ্কৃতী বা রাজনৈতিক দূরভিসন্ধির কাছে নতি স্বীকার করবে না কমিশন।
নির্বাচন কমিশন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোকামার সাম্প্রতিক খুনের ঘটনার পর বিশেষ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বিহার পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তাদের থেকে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কুমার জানিয়েছেন, ‘যেখানে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে একটিও রক্তবিন্দু ঝরার সুযোগ নেই। আমরা প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা, আধাসেনা মোতায়েন এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি।’
Advertisement
রবিবার কানপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে জ্ঞানেশ কুমার আরও বলেন, ‘ভোটের আগে কিংবা ভোটের দিন— যেখানেই সহিংসতার চেষ্টা হবে, আমরা কঠোরতম ব্যবস্থা নেব। অপরাধীর পরিচয় বা রাজনৈতিক রং কোনও গুরুত্ব পাবে না।’ কমিশনের তরফে স্থানীয় প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, মোকামার ঘটনার পর বিহারের গ্রামাঞ্চল ও শহরতলির বেশ কিছু এলাকায় ভীতি ছড়িয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। সেই প্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশনের এই কঠোর বার্তা নির্বাচনী পরিবেশে আস্থা ফিরিয়ে আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রত্যেক বুথের ঝুঁকির মাত্রা বিচার করে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে বিশেষ পর্যবেক্ষক, যাঁরা মাঠ পর্যায়ে অবস্থা খতিয়ে দেখবেন।
বিহারে গণতান্ত্রিক পর্বকে শান্তিপূর্ণ রাখাই যে কমিশনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, মোকামার রক্তাক্ত ঘটনার পর তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
Advertisement



