করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এই ২১ দিনে যাতে রাজ্যের দুধ বিক্রেতারা কোনও সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য দুধের জোগান বজায় রেখেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখা হচ্ছে রাজ্যের গরু, কুকুর ও বাঁদরদের। এই ব্যাপারে সবসময় কড়া নজর রেখেছেন দুগ্ধ ও প্রাণীজ সম্পদ দফতরের মুখ্যসচিব ভুবনেশ কুমার।
জানা গিয়েছে, এই সময় যাতে রাজ্যের সব শিশু দুধ পায় তার জন্য ২৩ কোটি মানুষের বাড়িতে দুধের জোগান বজায় রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে ৫ লাখ গরু ও দেড় লাখ পথকুকুর এবং দেড় লক্ষ বাঁদরদের দেখভাল করা হচ্ছে সরকারের তরফে। ভুবনেশ কুমারের দায়িত্ব হল গ্রাম ও শহরে এই দুধ জোগান যেন কোনওভাবেই বন্ধ না হয় তা দেখা।
Advertisement
এর জন্য রাজ্য সরকার ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও এগিয়ে এসেছে। ৫ লাখ গরুর থাকার জন্য রাজ্যজুড়ে ৫ হাজার গোয়াল বানানো হয়েছে। কুকুরদেরও নিয়মিত খাওয়ানো হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে থাকা বাঁদরদের খাওয়ার দিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
Advertisement
উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন ৮ কোটি লিটার দুধ উৎপাদন হয়। ভারতের ১৮ শতাংশ দুধ এই রাজ্যেই উৎপাদন হয়। পৃথিবীর মধ্যেও সবথেকে বেশি দুধ উৎপাদন হয় এই রাজ্যেই। আর লকডাউনের মধ্যে যাতে দুধ নষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কার্ফু এক্সপার্ট ভুবনেশ কুমারের কাঁধে।
এর আগেও রাজ্যে এই ধরনের পরিস্থিতি সামলেছেন এই আধিকারিক। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। ভুবনেশ কুমার জানিয়েছেন, লকডাউনের প্রথম দিন থেকে আমি প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, সাইকেলে করে যাঁরা দুধ সরবরাহ করতে যাচ্ছেন, তাদের যেন না আটকানো হয়। কারণ আমি চাইনি রাজ্যে দুধ সরবরাহের যে চেন রয়েছে তা নষ্ট হোক। কারণ এই কাজে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ নিযুক্ত। তাদেরও রুজি-রুটির প্রশ্ন জড়িয়ে আছে।
তবে এই সময় দুধের দাম হয়তো একটু কমেছে। কিন্তু তার জন্য বড় কোনও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি দুধ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে। দুধ যে বিক্রি হচ্ছে তাতেই অনেকটা স্বস্তি পেয়েছে সংস্থাগুলি।
Advertisement



