পণের দাবিতে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করে খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে। এই ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগ, গরম লোহার রড দিয়ে ওই গৃহধূর গোটা শরীরে একাধিক ছ্যাকা দিয়েছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকী যৌনাঙ্গেও গরম রডের ছ্যাকা দেওয়া হয়েছে। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
দশ বছর আগে আলিগড়ের বানপুরা গ্রামের বাসিন্দা বান্টি কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সঙ্গীতার। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই পণের দাবি করতে থাকেন সঙ্গীতার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। বর্তমানে নিজের বাবার বাড়ি থেকে একটি বুলেট মোটরবাইক ও একটি মহিষের নিয়ে আসার দাবিতে সঙ্গীতাকে চাপ দিতে থাকেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় সঙ্গীতার উপর চলে নৃশংস অত্যাচার। গত মঙ্গলবার স্বামী, শ্বশুর শাশুড়ি ও দুই ননদ সঙ্গীতার হাত–পা বেঁধে তাঁর উপর চরম নির্যাতন চালান। শরীরের বিভিন্ন অংশে এমনকী যৌনাঙ্গেও গরম লোহার রডের ছ্যাকা দেওয়া হয়। এই ভয়াবহ নির্যাতনের পরই মৃত্যু হয় সঙ্গীতার। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।
সঙ্গীতার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তাই সঙ্গীতার দেহ থেকে ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।