লখনউয়ে ধর্ষণে অভিযুক্তকে গুলি করে ধরলেন উত্তর প্রদেশের এক মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর। গত ২৮ মে মাদেগঞ্জে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। শনিবার গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, লখনউয়ের মাদেগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছেন অভিযুক্ত। সাব-ইনস্পেক্টর সাকিনা খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে যায়। পুলিশকে দেখে গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। পাল্টা পুলিশও গুলি চালায়। অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হলেও তিনি রাজি হননি। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতেই অভিযুক্তের পায়ে পাল্টা গুলি চালান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম কমল কিশোর ওরফে ভদ্দর। অভিযুক্ত একাধিক জায়গায় গা ঢাকা দিচ্ছিলেন বলে খবর পায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, বেশ কয়েক রাউন্ড কার্তুজ ও একটি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ‘এনকাউন্টার’-এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর সাকিনা খান এই মামলার তদন্ত করছিলেন। নির্যাতিতার কাউন্সেলিংও করছেন। তিনিই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। লখনউয়ের পুলিশ মহলে সাকিনা ‘লেডি সিংহম’ নামে পরিচিত। তিনি বলরামপুর জেলার উতরৌলার বাসিন্দা। এক সাক্ষাৎকারে সাকিনা জানান, তিনি একা নন, তাঁর বাবা, শ্বশুর এবং ভাসুরও উত্তরপ্রদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ৩৯ বছরের সাকিনা ২০১৯ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি লখনউয়ের মাদেগঞ্জ থানায় কর্মরত। ২০১১ সালে এক দুর্ঘটনায় স্বামী বাবর আখতার খানের মৃত্যু হয়। তিনিও পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়িতে রয়েছেন দুই কন্যাসন্তান। তাঁরা দু’জনেই কলেজে পড়েন। সাকিনা বলেন, ‘সামনে থেকে গুলি চালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু আমি ভয় পাইনি। কারণ, আমিও দু’সন্তানের মা। আর যে ভাবেই হোক অভিযুক্তকে ধরতে এটাই আমাকে আরও প্রেরণা জুগিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতেই অভিযুক্তের পায়ে পাল্টা গুলি চালাই।’